বিনোদন ডেস্ক
সংগীতশিল্পী ব্রিটনি স্পিয়ার্সের স্মৃতিকথা ‘দ্য উইমেন ইন মি’ প্রকাশ হতে চলেছে আগামী ২৪ অক্টোবর, যার কিছুটা প্রকাশিত হয়েছে পিপল ম্যাগাজিনে। সেখানে স্পিয়ার্সের জীবনের অজানা কিছু তথ্য উঠে এসেছে। স্মৃতিকথায় এমন এক বেদনার কথা তুলে ধরেছেন স্পিয়ার্স, যা আজও তাঁকে কষ্ট দেয়।
দুই দশক আগে সংগীতশিল্পী জাস্টিন টিম্বারলেকের সঙ্গে প্রেমের সময়টায় সন্তানসম্ভবা ছিলেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স। কিন্তু সেই সন্তান পৃথিবীতে আসেনি। কারণ টিম্বারলেক সে সময় সন্তান না চাওয়ায় বাধ্য হয়ে গর্ভপাত করান স্পিয়ার্স।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি প্রথম গর্ভপাতের সিদ্ধান্তটি আমার জীবনে সবচেয়ে বেদনাদায়ক ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি। আমার গর্ভাধারণ নিয়ে টিম্বার খুশি ছিল না। আমাকে বুঝিয়েছিল, সন্তান নেওয়ার জন্য দুজনের কেউই প্রস্তুত নই। এরপর আমার গর্ভপাত করা হয়। আমার বয়সও তখন কম ছিল। তখন যদি আমি একা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা রাখতাম, তাহলে সেটা ঘটত না।’
স্মৃতিকথায় টিম্বারলেকের সঙ্গে প্রথম দেখা হওয়ার গল্পও শুনিয়েছেন স্পিয়ার্স। তিনি লিখেছেন, তাঁদের ‘ডেটিং’ শুরু কিশোর বয়স থেকে। আর বিচ্ছেদ হয় ২০০২ সালে। বিচ্ছেদের আগের কয়েক বছরে ‘আদর্শ যুগল’ হিসেবে তাঁদের খ্যাতিও ছড়িয়েছিল।
২০১৪ সালে বাল্যবন্ধু জেসন আলেক্সান্ডারকে বিয়ে করেছিলেন ব্রিটনি স্পিয়ার্স। পরে তাঁরা আলাদা হয়ে যান। এরপর র্যাপার কেভিন ফেডারলিনের সঙ্গে সংসার শুরু করেন। ২০০৭ সালে সেই সম্পর্কেরও ইতি ঘটে। ওই সংসারে দুই সন্তান রয়েছে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের।
৪১ বছর বয়সী ব্রিটনি স্পিয়ার্সের সঙ্গে ১২ বছরের ছোট স্যাম আসগারির বাগদান হয়েছিল ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে। ১০ মাস পর ২০২২ সালের জুনে ছোট পরিসরে কিন্তু তারকাবহুল অনুষ্ঠানে তাঁরা বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরেছিলেন। মাঝে স্পিয়ার্সের মা হওয়ার এবং কিছুদিন পর গর্ভপাতের খবরও আসে। কিন্তু বিয়ের ১৪ মাস পরই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন এই দম্পতি।