ঢাকা: মনোজ বাজপেয়ির অভিনয়জীবনে আরেকটি বড় সাফল্য আসে ২০১৯ সালে। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে আমাজনে মুক্তি পায় ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’। সিরিজটি মুক্তির আগে ব্যাপকভাবে প্রচার করেনি আমাজন। ফলে দর্শকেরও আগ্রহ ছিল কম। তার পেছনে একটি বড় কারণ ছিল- বলিউডে তখন পর্যন্ত ভালো গোয়েন্দানির্ভর সিরিজ না থাকা। পরিচালক রাজ নিদিমোরু ও কৃষ্ণা ডিকেও বড় কারণ।
এই নির্মাতা জুটির আগের কাজগুলো প্রধানত ড্রামা ও কমেডি–নির্ভর। তাই গোয়েন্দা সিরিজ কতটা ভালো বানাবেন তাঁরা, এ নিয়ে সংশয় ছিল। তবে পরিস্থিতি বদলে যায় ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান’ প্রচারের পর। বলতে গেলে ঝড় তোলে সিরিজটি। রাতারাতি আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে।
এ সিরিজে এক গোয়েন্দার পারিবারিক জীবন দেখানো হয়েছে খুবই সরল-স্বাভাবিক ভঙ্গিতে। মনোজ বাজপেয়ি যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, ওই চরিত্রের নাম শ্রীকান্ত তিওয়ারি। তুখোড় গোয়েন্দা তিনি। কিন্তু পেশাগত জীবনে যতটা সেরা, ততটাই ব্যর্থ পারিবারিক জীবনে। মধ্যবিত্ত পরিবার চালাতে গিয়ে নাজেহাল গোয়েন্দা।
শ্রীকান্ত তিওয়ারির আগে আরও অনেক আলোচিত চরিত্রে কাজ করেছেন মনোজ বাজপেয়ি। রামগোপাল ভার্মার ‘সত্যা’য় প্রথম নিজের প্রতিভা দেখানোর সুযোগ পান তিনি। এ ছবি তাঁকে এনে দেয় জাতীয় পুরস্কার। এরপর ‘গ্যাংস অব ওয়াসিপুর’–এর সরদার খান চরিত্র তো তাঁকে স্মরণীয় করে রেখেছে।
সমালোচনা অবশ্য ‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান ২’ নিয়েও চলছে। তামিলদের জঙ্গি হিসেবে দেখানো হয়েছে, এ অভিযোগে সিরিজটির প্রচার বাতিলের দাবি ওঠে। তবে পরিস্থিতি কিছুটা ঠান্ডা হয় পরিচালকদ্বয়ের বিবৃতির পর, ‘সবাই যেন সমালোচনার আগে দ্বিতীয় সিজনটা একবার দেখে নেয়।’
‘দ্য ফ্যামিলি ম্যান ২’–এর অন্যতম আকর্ষণ সামান্থা আক্কিনেনি। এই তেলুগু অভিনেত্রী পরিচিত তাঁর রোমান্টিক চরিত্রের জন্যই। সেখান থেকে নিজের খোলনলচে বদলে এই সিরিজে তাঁকে দেখা যাবে ধূসর চরিত্রে।
প্রথম সিজনের সঙ্গে এবারের গল্পের মিল নেই। তবে পরিচালকদ্বয় জানিয়েছেন, প্রথম সিজন শেষে ভক্তদের যা যা কৌতূহল ছিল সেটা প্রথম পর্বে মিটে যাবে। মনোজ বাজপাইয়ের সঙ্গে প্রিয়ামণি, শারিব হাশমি আছেন এবারও। নতুন সিজনে দেখা যাবে পরিবারকে সময় দিতে গুপ্তচরের কাজ ছেড়ে ‘সাধারণ’ চাকরি নেয় শ্রীকান্ত। এদিকে দ্বিতীয়টি প্রচারের আগেই তৃতীয় সিজনের খবর নিশ্চিত করেছেন রাজ ও ডিকে।