আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় শীতে পিঠা বানানো, বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন পিঠা ব্যবসায়ীরা। শীতের এ সময়টায় তাঁদের আয়-রোজগারও ভালো বলে জানা গেছে।
পিঠা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, এ ব্যবসায় তেমন বেশি পুঁজি লাগে না। জ্বালানি হিসেবে লাকড়ি বা খড়ি লাগে, এ ছাড়া কিছু গুড়, নারকেল ও চালের গুঁড়া দিয়েই শুরু করা যায় ব্যবসা। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বিশেষ করে সাপ্তাহিক হাট-বাজারগুলোতে শীত মৌসুমে ভাপা ও চিতই পিঠা বিক্রি হয় বেশি। বিকেল থেকে বেশ রাত পর্যন্ত চলে বিক্রি। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়তে থাকে পিঠার দোকানগুলোতে। এই দুদিন শীত বাড়ায় পিঠা বিক্রিও বেড়ে গেছে।
গৈলা বাজারে পিঠা খেতে আসা মনিরুজ্জামান জানান, সন্ধ্যার পরে দোকানে ক্রেতাদের ভিড় থাকে অনেক বেশি। কেউ টুলে বসে কেউ বা দাঁড়িয়ে পিঠা খান। অনেকে বাড়ির জন্য কাগজে করেও নিয়ে যান এসব পিঠা।
গৈলা বাজারের পিঠা ব্যবসায়ী রহমান খলিফা জানান, অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী ধুপি পিঠা ছাড়াও চিতই পিঠা বানিয়েও বিক্রি করে। আবার চিতই পিঠার সঙ্গে ধনে পাতা, মরিচ, সরষে, শুঁটকি বাটা দিয়েও পিঠা বিক্রি করে। এসব পিঠার এক একটির দাম নেওয়া হয় ৫ থেকে ১০ টাকা।
গৈলা বাজারের ব্যবসায়ী আয়নাল ঘরামী জানান, প্রতিদিন বিকেল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এক থেকে দেড় হাজার টাকার পিঠা বিক্রি করি। যে পিঠায় গুড় ও নারকেল দেওয়া হয় সেসব পিঠার ক্রেতাও বেশি।