সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা উপজেলার খলিষখালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ভবনের দোতলার বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ইউপি সচিবসহ অন্য কর্মচারীরা।
ইউপি কার্যালয়ের কর্মচারীরা বলছেন, অনেক সময় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা তাঁদের দাপ্তরিক কাজ-কর্ম বাইরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসেই করছেন।
শনিবার ইউপি কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, দ্বিতল ভবনের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া ছাদের বিভিন্ন অংশের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। ছোট একটা কক্ষে ইউপি সচিব জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনো রকমে জন্ম নিবন্ধনের কাজসহ জরুরি দাপ্তরিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও দেখা গেছে, ইউপি ভবনের অন্য দুটি কক্ষ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সেগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। চেয়ারম্যান ও সদস্যরা আশপাশের বিভিন্ন চায়ের দোকানে বসে জনগণের সমস্যা সমাধান করছেন।
একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘জায়গা সংকটের কারণে নতুন ইউপি ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ভবনের অভাবে চেয়ারম্যান ও মেম্বরেরা পাশের চায়ের দোকানগুলোতে বসেন। বিভিন্ন কাজ নিয়ে গেলে তাঁরা সেখানে বসেই কাজ করেন। বিষয়টি দেখতে খুবই খারাপ লাগে। ইউপি চেয়ারম্যানের উচিত শিগগিরই একটি নতুন ভবন নির্মাণের ব্যবস্থা করা
নবনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাবীর হোসেন বলেন, ‘আমি নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, নির্বাচনে জিতলে যেভাবেই হোক নতুন ইউপি ভবন নির্মাণ করব। ইতিমধ্যে কয়েক জায়গায় জমি দেখেছি। সুযোগ বুঝে জমি কেনা হবে। তা ছাড়া বর্তমান পরিষদে বসতে পারছি না। যে কোনো মুহূর্তে ছাদ ধসে পড়তে পারে। বিভিন্ন চায়ের দোকানে বসে দাপ্তরিক কাজ করছি।’