Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

‘পুরো দলকেই থামাতে হবে’

ক্রীড়া ডেস্ক

‘পুরো দলকেই থামাতে হবে’

৫৬ হাজার ৫৯৪ কিলোমিটারের ছোট দেশটিই আজ বিশ্বের বুকে বড় নাম হয়ে উঠছে ফুটবলীয় সাফল্যে। এবারও সেই ক্রোয়েশিয়া স্বপ্ন দেখছে বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার।

ফাইনালে উঠতে আজ কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে তাদের পেরোতে হবে আর্জেন্টিনা-বাধা। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী হলেও এবারও ফাইনালে খেলতে আত্মবিশ্বাসী জ্লাতকো দালিচ। গতকাল ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ক্রোয়াট কোচ বললেন, ‘ক্রোয়েশিয়া চার বছর আগে সব ছোট দেশের জন্য একটি স্বপ্নকে (বিশ্বকাপ ফাইনাল) বাস্তবে পরিণত করেছিল। আমরা ছোট দেশগুলোকে বড় স্বপ্ন দেখার সাহস দিয়েছিলাম। চার বছর আগেও ক্রোয়েশিয়া ফাইনালে উঠবে, কেউ আশা করেনি। তারা আমাদের লড়াই এবং দক্ষতা দেখে উৎসাহিত হয়েছে।’

টানা দ্বিতীয়বার সেমিফাইনাল খেলছে ক্রোয়েশিয়া। এবারও দালিচ শুধুই শেষ চারে আটকে থাকতে চান না, ‘আমরা বিশ্বের চারটি সেরা দলের মধ্যে আছি। এটি ক্রোয়েশিয়ার জন্য একটি অসাধারণ সাফল্য। তবে আমরা আরও (এগিয়ে যেতে) চাই।’ তবে কাজটা সহজ নয়। কঠিন প্রতিপক্ষ আর্জেন্টিনা দলেই আছেন লিওনেল মেসি নামের এক জাদুকর। যিনি একাই ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন। প্রতিপক্ষ দলে কে বা কারা আছেন, সেটি নিয়ে না ভেবে দালিচ আস্থা রাখছেন নিজের শিষ্যদের ওপর। ক্রোয়েশিয়া কোচ বলেছেন, ‘লিওনেল মেসির নেতৃত্বে একটি দুর্দান্ত দল তারা। আমরা প্রতিপক্ষকে বিশ্লেষণ করেছি, জানি তারা কীভাবে খেলে এবং খেলাটি কোথায় নিয়ে যেতে চায়। আমি আশাবাদী, আমার খেলোয়াড়দের ওপর ভরসা রাখি।’

 দ্বিতীয় রাউন্ড ও কোয়ার্টার ফাইনালে ১২০ মিনিট খেলে পরে টাইব্রেকারে জিতেছে ক্রোয়েশিয়া। এরপরও ক্লান্তি বলে কিছু যেন নেই দালিচের ডিকশনারিতে। বলছেন, সেরাটা দিতে প্রস্তুত তাঁর দল, ‘আমরা দুটি ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলেছি। কিন্তু তাই বলে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আমরা ক্লান্তি নিয়ে আলোচনা করছি না। আমাদের ইচ্ছা ও প্রতিরোধের শক্তি আছে। সেরাটা দেব, প্রতিটি ম্যাচের পর আমরা ফিট হয়ে উঠেছি।’

ক্রোয়েশিয়ার রক্ষণাত্মক খেলার ধরন নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়। কেউ আবার ‘বিরক্তিকর’ বলেছেন এই ধরনকে। এমন প্রশ্নে দালিচের উত্তর, ‘এভাবে খেলেই আমরা বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে।’

আর্জেন্টিনা দলে মেসি-দি মারিয়ার মতো তারকা খেলোয়াড় থাকলেও ম্যান-মার্কিং করে খেলতে চায় না ক্রোয়েশিয়া। কোচ দালিচের সঙ্গে সুর মেলালেন লুকা মদরিচ ও ব্রুনো পেতকোভিচ।

পেতকোভিচের গোলেই কোয়ার্টারে ব্রাজিলের বিপক্ষে সমতায় ফিরেছিল ক্রোয়েশিয়া। ২৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘দল হিসেবে আমরা তাদের থামানোর চেষ্টা করব। ম্যান-মার্কিং করে নয়। আর্জেন্টিনার শুধু মেসি নয়, আরও অনেক ভালো খেলোয়াড় রয়েছে। ম্যাচে পুরো আর্জেন্টিনা দলকেই থামাতে হবে। মেসিকে আটকানোর একক কোনো পরিকল্পনা করিনি।’

ক্রোয়েশিয়ার বড় ভরসা লুকা মদরিচ। প্রতিপক্ষের বড় তারকা মেসিকে নিয়ে তাঁর কথাও প্রায় এক, ‘আরেকটি বড় দলের বিপক্ষে সেমিফাইনালে খেলব। দলের বিপক্ষে খেলতে চাই, শুধু একজন খেলোয়াড়ের বিপক্ষে নয়। অবশ্যই লিও অনেক বড় ফুটবলার। তবে আমরা প্রস্তুত। আশা করি ফাইনালে উঠতে এটি যথেষ্ট হবে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ