হেলিকপ্টার আসবে দুপুরে। কিন্তু সরাসরি এই হেলিকপ্টার দেখতে সকাল থেকেই উৎসুক মানুষের ভিড় শুরু হয় মাঠ ঘিরে।
শিশু থেকে বৃদ্ধ, সব বয়সের নারী–পুরুষ হাজির হন কেশবপুরের উপজেলার পাঁজিয়া মহাবিদ্যালয়ের মাঠে। হাজারো মানুষের এই ভিড় সামলাতে সেখানে পুলিশ পর্যন্ত মোতায়েন করতে হয়েছে। ঘটনাটি গতকাল শুক্রবারের।
জানা গেছে, রিয়াজ লিটন নামের কেশবপুরের এক পরিবেশক (ডিলার) একটি কোম্পানির পণ্য বিক্রিতে দেশের তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। তাঁকে সম্মাননা জানানোর জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে এই হেলিকপ্টার পাঠানো হয়। দুপুর ১২টা ৫৮ মিনিটে হেলিকপ্টার ওই বিদ্যালয়ের মাঠে অবতরণ করে।
হেলিকপ্টার দেখতে আসা বৃদ্ধ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আকাশে হেলিকপ্টার উড়তে দেখলেও স্বচক্ষে নিচে নামা কখনও দেখিনি। সকাল থেকে হেলিকপ্টার দেখতে খেলার মাঠের ঘাসের ওপর বসে আছি।’
প্রথম শ্রেণির ছাত্র মাসুদ রানা বলে, ‘বাড়িতে আমার খেলনা হেলিকপ্টার আছে। সেটা অনেক ছোট। আজ বড় হেলিকপ্টার দেখেছি।’
পণ্য বিক্রেতা তৃতীয় স্থান অধিকার করা রিয়াজ লিটন বলেন, ‘পদ্মার এপারে এবারই প্রথম কোনো ডিলার জাতীয় পর্যায়ে স্থান করে নিয়ে হেলিকপ্টারে সম্মাননা আনতে ঢাকায় যাচ্ছে। ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ থেকে যারা এই মাঠে এসেছেন সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
কেশবপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সুমারেশ কুমার সাহা বলেন, ‘নিরাপত্তার জন্য সকাল থেকেই পাঁজিয়া মহাবিদ্যালয়ের খেলার মাঠে পুলিশের একটি দল অবস্থান নেয়।’
এএসআই সুমারেশ কুমার সাহা বলেন, ‘হেলিকপ্টারটি মাঠে অবতরণ করার সঙ্গে সঙ্গে উৎসুক জনতা সেদিকে এগিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় প্রতিবন্ধক দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে হেলিকপ্টার দেখা নিয়ে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’