জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার হিসেবে পাওয়া সব টাকা নিয়ে পুষ্টিহীন শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ফিফা রেফারি সাতক্ষীরার তৈয়ব হাসান। গত বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরে তিনি এ ঘোষণা দেন।
তৈয়ব হাসান বলেন, ‘পুরস্কারের এক লাখ টাকা আমি খরচ করব না। পুরোটা দেব সাতক্ষীরার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের। বিশেষ করে জলবায়ুর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার শিশুদের। আমি মনে করি, অন্যদেরও এ কাজ করা উচিত।’
সাতক্ষীরার সন্তান তৈয়ব বলেন, ‘আমি বিত্তবানদের আহ্বান করব পুষ্টিহীন শিশুদের পাশে দাঁড়াতে। পুষ্টি না থাকলে আজকের শিশু খেলোয়াড় হতে পারবে না। তাই আমি ভেবেছি, পুষ্টিহীনদের পাশে দাঁড়াব। এটা ক্রীড়াবিজ্ঞানেরও অংশ।’
এ উদ্যোগের উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত সাতক্ষীরার আরেক কৃতি সন্তান বাংলাদেশ জিমন্যাস্টিকস ফেডারেশনের সভাপতি শেখ বশির আহমেদ। সঙ্গে থাকবেন সাতক্ষীরার সমাজসেবক ডা. আবুল কালাম বাবলা।
সাতক্ষীরায় একসময় সাংবাদিকতা করতেন তৈয়ব। তিনি ২০১৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে (ভারত বনাম আফগানিস্তান) নিজের পরা জার্সিটি নিলামে তোলেন ২০২০ সালে করোনার সময়ে। সেটি বিক্রি হয় ৫ লাখ ৫৫ হাজার টাকায়। সেই অর্থ বিতরণ করা হয় করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত খেলোয়াড়, সংগঠক, রেফারিসহ অনেকের মধ্যেই। খোদ ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো তাঁকে বিশেষ প্রশংসাপত্র পাঠিয়েছেন এ উদ্যোগের জন্য।
সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠকে তৈয়ব বলেন, ১৯৭৬ সালে প্রবর্তিত জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার অতীতে কখনোই রেফারিদের দেওয়া হয়নি। পুরস্কারটা সীমাবদ্ধ ছিল মূলত খেলোয়াড়, সংগঠক, কোচদের মধ্যে। কিন্তু এবার ২০১৩-২০২০ পর্যন্ত একসঙ্গে যে ৮৫ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়।