শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হচ্ছে টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের উপনির্বাচনের প্রচার। আজ শুক্রবার রাত ১২টা পর্যন্ত প্রচারের শেষ সময়। আর মাত্র দুই দিন পরেই অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ। তাই শেষ মুহূর্তে প্রার্থী ও সমর্থকেরা গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দিচ্ছেন বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের প্রতিশ্রুতি। এদিকে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠে নামছে বিজিবি।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার থেকে চার প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া নির্বাচনের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার মিলিয়ে ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। একই সঙ্গে র্যাব এবং ডিবির টিমও কাজ করবে। অপরদিকে প্রতিটি ইউপিতে পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্স ও একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।
উপনির্বাচনে পাঁজজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ (নৌকা), জাতীয় পার্টির জহিরুল হক জহির (লাঙল), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির গোলাম নওজব চৌধুরী (হাতুড়ি), বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির রুপা রায় চৌধুরী (ডাব) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম নুরু (মোটরসাইকেল)।
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী খান আহমেদ শুভ বলেন, ‘আমাদের প্রয়াত সাংসদ এই আসনটিকে সাজাতে অনেক কাজ হাতে নিয়েছিলেন। এর অনেকগুলো কাজ এখনো অসমাপ্ত রয়েছে। সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমাকে মানুষ জয়ী করবে বলে আশা রাখি।’
জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম জহির বলেন, ‘ইতিমধ্যে মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। পাশাপাশি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা করছি। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় মানুষ আমাকে জয়ী করবে।’
স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ফজরের নামাজের পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচার কাজ করে যাচ্ছি। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছি। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। আমি মির্জাপুরবাসীকে একটি আদর্শ মডেল শহর উপহার দিতে চাই।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান বলেন, প্রার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রচার চালাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী লিখিত বা মৌখিকভাবে অভিযোগ করেননি। শুক্রবার রাত ১২টায় শেষ হবে প্রচারের সময়। এবার ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ ভোটাররা যেন সহজেই ইভিএমে ভোট দিতে পারেন, সে লক্ষ্যে আজ সারা দিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর স্থানীয় সংসদ সদস্য একাব্বর হোসেন মারা গেলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ১৬ জানুয়ারি এ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ৫০১ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৭৮ জন। এ ছাড়া পাঁচজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারও রয়েছেন। মোট ভোটকেন্দ্র রয়েছে ১২১টি এবং ভোটকক্ষ রয়েছে ৭৫৬টি।