Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

সড়কে হেঁটে চলাও কষ্টকর

ত্রিশাল প্রতিনিধি

সড়কে হেঁটে চলাও কষ্টকর

ত্রিশাল উপজেলার বেশির ভাগ সড়ক বেহাল হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় এসব সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয় যানবাহন ও মানুষকে। কোনো কোনো সড়কে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ত্রিশাল উপজেলার যে সড়কগুলোতে সবচেয়ে বেশি যানবাহন চলাচল করে তার মধ্যে অন্যতম ত্রিশাল-পোড়াবাড়ী সড়ক, ত্রিশাল-ফুলবাড়িয়া সড়ক ও ত্রিশাল বাজারের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়ক। অথচ এ সড়কগুলোতেই তৈরি হয়েছে সবচেয়ে বেশি খানাখন্দ।

কয়েকটি সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, ত্রিশাল-পোড়াবাড়ী সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করেন উপজেলার দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলসহ ফুলবাড়িয়া উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। চলাচল করে অসংখ্য যানবাহন।

২০১৯ সালে ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ত্রিশাল-পোড়াবাড়ী সড়ক সংস্কার করা হলেও নিম্নমানের কাজ হওয়ায় বছর না ঘুরতেই তৈরি হয় খানাখন্দ। এ সড়কে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। বেশ কয়েকটি ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ত্রিশাল-ফুলবাড়িয়া সড়কেও দুই উপজেলার ব্যবসায়ীসহ নানা পেশাজীবী মানুষের চলাচল। ছয় বছর ধরে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এই সড়কে চলাচলকারীরা। কিন্তু ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্টদের গাফিলতির কারণে গত চার বছরেও শেষ হয়নি ১২ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ের সংস্কার কাজ। কর্দমাক্ত আর হাঁটুসমান পানিতে ডুবে যাওয়া সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন যানবাহন ও পথচারীরা।

অলহরী খারহর গ্রামের রফিকুল, মঠবাড়ী গ্রামের সজিব, বাবলু মিয়া ও ধানীখোলার মামুন, মনির, স্বপন ও পারভেজ আক্ষেপ করে বলেন, আর কত বক্তব্য নেবেন, ছবি তুলবেন। লাভ কী? আমাদের কষ্ট আপনারা বুঝলেই লাভ কী? যাঁরা বোঝার (সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ) তাঁরা তো বোঝেন না।

দুর্ভোগে নাকাল ত্রিশাল-কানিহারী সড়কে চলাচলকারীরাও। অসংখ্য খানাখন্দ। সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় কাকচর গ্রাম দিয়ে না গিয়ে গত দুই বছর ধরে দরিল্যা বা গফাকুঁড়ি সড়ক হয়ে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনকে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।

ত্রিশাল পৌরসভার বাসিন্দা রফিকুল বলেন, ‘পৌরসভার মূল সড়কে খানাখন্দ থাকায় ত্রিশাল-পোড়াবাড়ী সড়কের যানবাহন বিকল্প সরু সড়কে গন্তব্যে পাড়ি দিচ্ছে। এত করে ওই সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়াটা খুবই কষ্টের। সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছি আমরা। আমাদের কষ্ট দেখার কেউ নেই।’

তবে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের দাবি, নিম্নমানের কাজ নয় বরং সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মৎস্যবাহী ট্রাক চলাচল ও সড়কের দুই পাশে অপরিকল্পিত পুকুর খনন করে মৎস্য খামার গড়ে তোলায়।

ত্রিশাল উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। সড়কগুলো সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ