ঈশ্বরগঞ্জে এক কলেজছাত্রীকে ‘আত্মহত্যার প্ররোচনা’র অভিযোগে থানায় মামলা হওয়ার ১৭ দিন পরও আসামি অধরা রয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে পাশে এই মানববন্ধনে অংশ নেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। মানববন্ধন শেষে ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মরিচারচর (নামাপাড়া) এলাকার হাদিসা আক্তার পপি (১৭) নামের এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল একই এলাকার মোনায়েম (২২) নামে এক যুবকের। পপি মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একপর্যায়ে তাদের মেলামেশার বিষয়টি জানাজানি হলে সালিসে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। তবে মোনায়েম বিয়েতে অসম্মতি জানালে বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে গত ৭ নভেম্বর ‘আত্মহত্যা’ করে পপি। পরের দিন ওই কিশোরীর বড়ভাই খুরুম মিয়া আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযোগে মোনায়েমসহ কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দেন। পরে পুলিশ অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করে। তবে এখনো পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে কর্মসূচিতে তানজিনা আক্তার তৃষা ও জিন্নাত আফরিন জয়া নামে দুই ছাত্রী বলে, ‘যাঁর জন্য একটি মেয়ের জীবন প্রদীপ নিভে গেল, তাঁকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’
স্থানীয় বাসিন্দা খালেদা আক্তার, মো. ইব্রাহিম খলিল ও রবিউল আওয়াল বলেন, মামলা হওয়ার এত দিন পরও পুলিশের তালবাহানার কারণে আসামিকে ধরতে পারেনি। আসামিদের গ্রেপ্তার না করা হলে কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলার তদন্ত চলছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মানববন্ধন শেষে ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি দেয়। এ সময় ইউএনও মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার আসামিকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য ওসিকে বলা হবে।