Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

চরাঞ্চলের চাষিরা ফের দুশ্চিন্তায়

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

চরাঞ্চলের চাষিরা ফের দুশ্চিন্তায়

উজান থেকে আসা ঢলে বেড়েই চলেছে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি। এ কারণে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন যমুনার চরাঞ্চলের কৃষকেরা। প্রথম ও দ্বিতীয় দফা বন্যার পর তাঁদের ফসলের ক্ষতি হয়। ক্ষতি পুষিয়ে ওঠার আশায় নতুন করে আমন ধানের বীজতলা ও পাটের বীজ বপন করেন। কিন্তু তৃতীয় দফায় পানি বাড়ায় ও বন্যার আশঙ্কায় ফসল নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের কৃষকেরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় ৪২ হাজার ৭০০ হেক্টর যমুনার চর রয়েছে। এর মধ্যে ৩৮ হাজার ২৫০ হেক্টর ফসলি জমি। এসব জমিতে পাট, আখ, বাদাম, তিল, তিসি, বোরো, আমন ধান, সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ করা হয়। নতুন করে পানি বাড়ায় এই এলাকার কৃষকদের মধ্যে ফসল তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন দিন ধরে যমুনার পানি বেড়েই চলেছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টায় সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় পানি রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৬ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় (গত সোমবার বেলা ৩টা থেকে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টা পর্যন্ত) যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ১১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ২৯ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ধরা হয় ১৩ দশমিক ৩৫ মিটার)।

এদিকে পানি বাড়ার মধ্যেও ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটছে জেলার শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ও পাকরতলার বাসিন্দাদের। যমুনার ভাঙনে প্রতিদিনই ঘরবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত পানি বাড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চরাঞ্চলের কৃষকেরা।

সদর উপজেলার কাওয়াকোলা চরের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জুন মাসের বন্যায় চরের কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। চরে রোপণ করা বোরো ধান, তিল, বাদামসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে যায়। আবারও পানি বাড়ায় বন্যার আশঙ্কায় রয়েছেন তিনি।

শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের উথুলী চরের কৃষক কামরুল ইসলাম বলেন, গত জুনের বন্যায় ফসল ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন তিনি। পানি নেমে যাওয়ার পর নতুন করে আমন ধানের চারা রোপণ করেছেন তিনি। কিন্তু যেভাবে যমুনার পানি বাড়ছে এতে চরের কৃষকেরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। বেশি পানি আসলে চরের জমিতে আমনের চারা তলিয়ে যাবে।

শাহজাদপুর উপজেলার এনায়েতপুর থানার জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বলেন, ভাঙনে দিশেহারা যমুনা পাড়ের মানুষ। প্রতিদিনই ভাঙছে ঘরবাড়ি ফসলি জমি। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড তেমন তৎপর না। দ্রুত বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধ করতে হবে।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর বলেন, এই মুহূর্তে যমুনার চরে পাটগাছ ও আমন ধানের বীজতলা রয়েছে। নদীতে পানি বাড়ার খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি। তাঁরা জানিয়েছেন, পানি বাড়লেও এই মুহূর্তে বন্যার সম্ভাবনা নেই।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুর রহমান বলেন, গত রোববার দুপুর থেকে যমুনা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। গত দুই দিনে যমুনায় ২৮ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। উজানের ঢলে যমুনায় আরও দুই-এক দিন পানি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি ব্যারাজ পয়েন্টের বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ কারণে যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই। বৃষ্টি কমলেই পানি কমতে শুরু করবে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ