ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে ১ হাজার ৭০০ কেজি ওজন হয়েছে ষাড় ‘সম্রাটের’। জবাই করার পর এটি থেকে ২৮-৩০ মণ মাংস পাওয়া যাওয়ার দাবি করছেন ষাড়ের মালিক আমানুল্লাহ আমান। তিনি আসন্ন কোরবানির বাজারে ষাঁড়টি বিক্রি করবেন। দাম হাঁকছেন ১৮ লাখ টাকা।
আমানুল্লাহ আমানের বাড়ি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের আধারদীঘি গ্রামে।
ষাঁড়টির দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা আসাদুল হাবিব জানান, সাড়ে চার বছর ধরে ব্রাহামা জাতের ষাঁড়টি লালন-পালন করা হচ্ছে। এটি শান্ত প্রকৃতির হলেও খামারের বাইরে আনা নেওয়া করতে চার থেকে পাঁচজন লোকের প্রয়োজন হয়। সবার সমন্বয়ে মোটা দড়ির সঙ্গে বেঁধে বাইরে আনা হয় ‘সম্রাট’কে। এটিকে ঘাস, লতাপাতা, গমের ভুসিসহ দামি খাবার খাওয়ানো হয়। প্রতিদিন ষাঁড়টির খাবার লাগে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকার।
স্থানীয় বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজিজুল হক জানান, ষাঁড়টি উত্তরবঙ্গের সেরা গরু হিসেবে দেখা হচ্ছে। আশপাশের জেলাগুলোতে এত বড় গরু রয়েছে বলে এখন শোনা যায়নি। এটি এক পলক দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক মানুষ ছুটে আসছেন।
খামারি আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘ফিতা দিয়ে মেপে দেখা গেছে ষাঁড়টি ১৩ ফুট লম্বা ও উচ্চতা ৬ ফুট। ষাঁড়টির জীবিত অবস্থায় ওজন ১ হাজার ৭০০ কেজি। এটি জবাই করার পর ২৮-৩০ মণ মাংস পাওয়া যাবে বলে আমরা আশা করছি। গেল বছর কোরবানির করোনার কারণে বাজারে তুলিনি। এবার বাজারে গরুটি বিক্রি করা হবে। ১৮ লাখ টাকা প্রাথমিক মূল্য ধরা হয়েছে।’
আমান দুটি খামারে ৫০ টির বেশি গরু পালন করছেন। গরু দেখাশোনা করার জন্য তাঁর বাবা ও ভাতিজারা সহযোগিতা করেন। গরুর খাদ্যের জন্য তিনি কাঁচা ঘাসের আবাদ করেছেন।