Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

ময়মনসিংহে বিভক্ত আওয়ামী লীগ

নাজমুল হাসান সাগর, ময়মনসিংহ থেকে

ময়মনসিংহে বিভক্ত আওয়ামী লীগ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহে এবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা। জেলার কয়েকটি আসনে এই চিত্র দেখা গেছে। এ ছাড়া নৌকার প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে প্রতিপক্ষকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। তবে এর মধ্যেও প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই বেশ জোরেশোরেই প্রচার শুরু হয়েছে।

ময়মনসিংহ-৪ (সদর উপজেলা) আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মোহিত উর রহমান ওরফে শান্ত। তিনি ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ধর্মমন্ত্রী প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমানের ছেলে। তাঁর পক্ষে নগরীতে ব্যাপক প্রচার দেখা গেল। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. আমিনুল হক ওরফে শামীম। এই দুই প্রার্থীর পক্ষে ভাগ হয়ে গেছে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ। এলাকা ঘুরে নির্বাচনী প্রচার ও সভাগুলোতে নজর রেখে দেখা গেছে,  জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুলসহ মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীমের পক্ষে কাজ করছেন। শামীমের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটু। তাঁর ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, ‘নির্বাচনে কার পক্ষে কাজ করতে হবে আমাদের এমন কোনো বাধা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে দিয়েছেন যার যা ইচ্ছা তাই করতে।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম বলেন, ‘যাঁকে দিয়ে আমাদের এলাকার উন্নয়ন হবে আমরা তাঁর জন্য কাজ করব।’
তবে একে আদর্শের বিচ্যুতি হিসেবে দেখছেন নৌকার প্রার্থী মোহিত উর রহমান শান্ত। তিনি বলেন, ‘আজকে যাঁরা ট্রাক প্রতীকের পক্ষে কথা বলছেন, বুঝতে হবে তাঁরা নৌকার বিপক্ষে কাজ করছেন। যাঁরা আদর্শবিরোধী তাঁদের জন্য কষ্ট পাওয়ার কিছু নেই।’

এদিকে ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর উপজেলা) গৌরীপুর আসনে ভোটের মাঠে লড়াই করছেন আওয়ামী লীগেরই ছয় প্রার্থী। দলীয় মনোনীত প্রার্থী প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিশেষ সহকারী মাহবুবুর রহমান শাকিলের স্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলুফার আনজুম পপি। স্বতন্ত্র হিসেবে ট্রাক প্রতীক নিয়ে সমানতালে লড়ছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহা। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরীফ হাসান অনু, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোর্শেদুজ্জামান সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নাজনীন আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রমিজ উদ্দিন স্বপন রয়েছেন মাঠে। এমন বিভক্তিতে বিপাকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, একই দলের একাধিক প্রার্থী, নেতা-কর্মীরা নানা ভাগে বিভক্ত এখন।

পুলিশের হুমকি
ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশালে) আসনে নৌকার প্রার্থী রুহুল আমিন মাদানির পক্ষে ভোট চেয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী এ বি এম আনিছুজ্জামানের কর্মী মামুনুর রশীদ সোহেল এবং মশিউর রহমান শাহানশাহকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ কর‍তে হবে। না হলে মামলা দিয়ে জেলে ঢুকানো হবে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে এ ব্যাপারে লিখিতভাবে অভিযোগও দিয়েছেন আনিছুজ্জামান। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়ে আমি শুনেছি। তবে আমি এমন কিছু করিনি।’

এই নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দলীয় নেতা-কর্মীদের অধিকাংশ নৌকার প্রার্থীর পক্ষে। আর আওয়ামী লীগের হয়ে যাঁরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য হয়েছেন তাঁরা স্বতন্ত্র প্রার্থী এ বি এম আনিছুজ্জামানের পক্ষে। এমন চিত্র লক্ষ করা গেছে ময়মনসিংহের বাকি আসনগুলোতেও।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ