ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ইসলাম অত্যধিক গুরুত্বারোপ করেছে। পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যত নবী ও রাসুলের আগমন ঘটেছে, তাঁদের প্রত্যেককে আল্লাহ তাআলা যেসব দায়িত্ব দিয়েছেন, তার মধ্যে প্রধান দায়িত্ব ছিল ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে সাক্ষ্যদাতা হিসেবে তোমরা দৃঢ়ভাবে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকারী হও, এমনকি সেই সাক্ষ্য তোমাদের নিজেদের বা বাবা-মায়ের অথবা নিকটাত্মীয়দের বিরুদ্ধে গেলেও।
যার সম্পর্কে সাক্ষ্য দেওয়া হচ্ছে, সে ধনী হোক বা গরিব। আল্লাহ উভয়েরই সর্বোত্তম অভিভাবক। অতএব তোমরা যাতে ন্যায়বিচার করতে সক্ষম হও, সে জন্য তোমরা কুপ্রবৃত্তির অনুসরণ করো না আর তোমরা যদি প্যাঁচানো কথা বলো অথবা সত্য এড়িয়ে যাও, তবে মনে রেখো, তোমরা যা করো, সে বিষয়ে নিশ্চয়ই আল্লাহ পুরোপুরি অবগত আছেন।’ (সুরা নিসা: ১৩৫)
এ আয়াতে শুধু সুবিচারের কথাই স্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়নি, বরং সুবিচার প্রতিষ্ঠার অপরিহার্য শর্তাবলিও উল্লেখ করা হয়েছে। আরও এরশাদ হয়েছে, ‘হে ইমানদারগণ, আল্লাহর উদ্দেশে তোমরা ন্যায়ের পক্ষে সাক্ষী হিসেবে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হও আর কোনো জাতির শত্রুতা যেন কখনোই তোমাদের অবিচার করতে প্ররোচিত না করে। তোমরা সদা ন্যায়বিচার করো। এ কাজটি তাকওয়ার সবচেয়ে নিকটে। আর তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। তোমরা যা কিছু করো, নিশ্চয়ই আল্লাহ সে বিষয়ে পুরোপুরি অবগত আছেন।’ (সুরা মায়েদা: ৮)
পৃথিবীতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করাই মহানবীর (সা.) আগমণের উদ্দেশ্য এবং তিনি সর্বত্র ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষমও হয়েছিলেন। এরশাদ হয়েছে, ‘বলো, আমার প্রভু আমাকে ন্যায়বিচার করার নির্দেশ দিয়েছেন।’ (সুরা আরাফ: ২৯)
লেখক: বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি