Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

চার অঞ্চলে বিভক্ত হচ্ছে রেলওয়ে

সৌগত বসু, ঢাকা

চার অঞ্চলে বিভক্ত হচ্ছে রেলওয়ে

দুই অঞ্চল থেকে চার অঞ্চলে বিভক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আর পরিচালন বিভাগ হচ্ছে আটটি। রেলওয়ের বিভাগ বিভাজন সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। রেলওয়ে সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দুটি অঞ্চল অর্থাৎ পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলে বিভক্ত। প্রতি অঞ্চলে দুটি করে মোট চারটি পরিচালন বিভাগ রয়েছে। সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনার লক্ষ্যে ২০১৪ সালের ২৩ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অঞ্চল ও বিভাগ বাড়ানোর অনুশাসন দিয়েছিলেন। পরে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে রেলওয়েকে চারটি অঞ্চল ও আটটি পরিচালন বিভাগে বিভক্তির সুপারিশ করেছিল রেলওয়ে।

রেল সূত্র জানায়, চলতি বছর রেল যোগাযোগের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলা ও কক্সবাজার। এ কারণে গত সেপ্টেম্বরে বিভাজন নিয়ে নতুন করে প্রস্তাব আসে। ওই প্রস্তাবনা কমিটির সদস্য রেলের মহাব্যবস্থাপক (পশ্চিম) অসীম কুমার তালুকদার। তিনি বলেন, তাঁরা বিভাজনসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব ঢাকায় পাঠিয়েছেন।

সূত্র জানায়, ঢাকায় রেল ভবনে গত মঙ্গলবার বিভাগ বিভাজনসংক্রান্ত সভায় ওই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন রেলের মহাপরিচালক মো. কামরুল আহসান। তিনি সভায় প্রস্তাবিত বিভাগগুলোর অধিক্ষেত্র, জনবলসহ পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব পার্সোনেল শাখার মাধ্যমে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে দ্রুত পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, বর্তমানে রেলের পশ্চিমাঞ্চলে রয়েছে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বৃহত্তর ফরিদপুর। পশ্চিমাঞ্চলকে ভেঙে খুলনা ও ফরিদপুর নিয়ে নতুন ‘দক্ষিণাঞ্চল’ করার এবং এই অঞ্চলের অধীনে যশোর ও ফরিদপুরকে পরিচালন বিভাগ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে রেলের পূর্বাঞ্চলে রয়েছে চট্টগ্রাম, সিলেট, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগ। এর মধ্যে ঢাকা ও ময়মনসিংহ নিয়ে রেলওয়ের নতুন অঞ্চল ‘মধ্যাঞ্চল’ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর সদর দপ্তর হবে ময়মনসিংহ। ‘মধ্যাঞ্চল’-এর অধীনে পরিচালন বিভাগ হবে ময়মনসিংহ ও ঢাকা। পূর্বাঞ্চল থেকে ঢাকা বিভাগ বাদ পড়লে সিলেট হবে নতুন পরিচালন বিভাগ। রাজশাহী ও রংপুর নিয়ে গঠিত পশ্চিমাঞ্চলের পরিচালন পরিধি কমলেও বিদ্যমান পরিচালন বিভাগ পাকশী ও লালমনিরহাট অপরিবর্তিত থাকবে।

এ বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এসব পরিকল্পনা অনেক আগেই নেওয়া হয়েছিল। যেহেতু রেলওয়ে বর্ধিত হচ্ছে, তাই অঞ্চল ভাগ করার চিন্তাভাবনাও রয়েছে। ধীরে ধীরে তা করা হবে। 

রেলের একটি সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত দক্ষিণাঞ্চলের সদর দপ্তর খুলনা নাকি ফরিদপুর হবে, তা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছিল। চলতি বছরের মার্চে খুলনা অঞ্চলের সংসদ সদস্য শেখ হেলালউদ্দিনসহ তিনজন সংসদ সদস্য খুলনায় দক্ষিণাঞ্চল রেলের সদর দপ্তর করতে মন্ত্রীর কাছে পৃথকভাবে সুপারিশ করেন। রেলপথমন্ত্রীও একই মত দেন। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন। পরে সেপ্টেম্বরে দেওয়া প্রস্তাবে খুলনাকেই দক্ষিণাঞ্চলের সদর দপ্তর করার মত দেওয়া হয়। মঙ্গলবারও একই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বর্তমানে ৪৮ জেলা রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত। রেলওয়েতে অনুমোদিত জনবল ৪৭ হাজার ৬৩৭। রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন দুটি অঞ্চলের জন্য আরও ১০ থেকে ১৫ হাজার জনবল নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে রেলের বিদ্যমান অবকাঠামোতেই বিভাগীয় কার্যালয় করা সম্ভব। কেবল কিছু অতিরিক্ত স্থাপনা প্রয়োজন হবে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ