ফেনী আদালত পুলিশের পরিদর্শক গোলাম জিলানীর বিরুদ্ধে টাকা না পেলে ফাইল আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবাদ করে নাজমুস সাকিব নামে এক আইনজীবী শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় সাকিব চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করেছেন। এ ছাড়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে লিখতি অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে নাজমুস সাকিব বলেন, ‘গত রোববার মনির আহমেদ নামে এক ব্যক্তির জামিন দেন আদালত। জামিননামাটি যথা সময় না পৌঁছানোর কারণ জানতে চাইলে আদালত পরিদর্শক জিলানী আমার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নিয়ে আমাকে অফিস থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। পুরো ঘটনাটি তাঁর রুমে সিসি ক্যামেরায় রয়েছে।
নাজমুস সাকিব অভিযোগ করে আরও বলেন, ফেনী ডিসির রুম থেকে অস্ত্র ঠেকিয়ে এক ঠিকাদারকে অপহরণ করার ঘটনায় গত ১২ অক্টোবর অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই অভিযোগপত্রটি আদালত উপস্থাপন করেনি জিলানী। এ ছাড়া অনেক অপরাধীকে বাঁচাতে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তিনি অভিযোগপত্র নিজের কাছে রেখে দেওয়ার অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে।
তবে আদালত পরিদর্শক মো. গোলাম জিলানী আইনজীবী সাকিবের এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, জামিননামার কাগজের খোঁজে এসে এক আইনজীবী তাঁর কথোপকথন ভিডিও করলে তিনি তাঁর মোবাইল সেটটি রেখে দেন।
ফেনী আইনজীবী সমিতির জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম নান্টু ও মানিক চন্দ্র শর্মা বলেন, ফেনীর আদালতের পুলিশ টাকা ছাড়া কোনো কাজ করেন না। টাকা দিয়ে সেবা নিতে হয়।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট নুর হোসেন বলেন, এ বিষয়ে লিখিতভাবে বিচার চেয়েছেন নাজমুস সাকিব নামে একজন আইনজীবী। আগামীকাল রোববার একটি জরুরি সভা হবে, এ বিষয়ে সেখানে সিদ্ধান্ত হবে। এ ছাড়া ওসি জিলানী ফেনীর আদালতে যোগদানের পর থেকে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে এখানে কর্মরত রয়েছে। টাকা ছাড়া তিনি কিছু বোঝেন না। সব অনিয়ম টাকা পেলে নিয়মে পরিণত হয়ে যায়। টাকা না দিলে জামিননামার কপিও আটকে রাখেন।