হোম > ছাপা সংস্করণ

গুলিতে দুজন নিহতের ঘটনায় দুই মামলা

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

নরসিংদীর রায়পুরায় গত রোববার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে দুটি কেন্দ্রে সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন নিহত হওয়ার ঘটনায় পৃথক মামলা হয়েছে। এ সব ঘটনায় দুই কেন্দ্রের দুই প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বাদী হয়ে রায়পুরা থানায় দুটি মামলা করেছেন।

উপজেলার চান্দেরকান্দিতে আরিফ মিয়া (২৪) নামের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। উত্তর বাখরনগরে নির্বাচনী সহিংসতায় ফরিদ মিয়া (৩২) নামের আরেজন চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। পরে রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

পুলিশ প্রশাসন বলছে, দুটি কেন্দ্রেই ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়ার সময় সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় পুলিশ দুটি কেন্দ্রেই গুলি চালায়। এতে উত্তর বাখর নগরে ফরিদ মিয়া গুরুতর আহত হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। কিন্তু চান্দেরকান্দির আরিফ মিয়া কার গুলিতে নিহত হয়েছেন, তা এখনো জানা যায়নি।

চান্দেরকান্দির ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনের বিরুদ্ধে এবং উত্তর বাখরনগরে ইউপি সদস্য পণ্ডিতকে প্রধান করে আরও অজ্ঞাতনামা ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

উত্তরবাখর নগরের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভোট গণনা নিয়ে রোববার সন্ধ্যায় দুই সদস্য প্রার্থীর মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের সমর্থকেরা উত্তেজিত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এ সময় ফরিদ মিয়ার চোখে গুলি লাগে। তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠান। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে চান্দেরকান্দি ইউপির বাসিন্দারা বলেন, চান্দেরকান্দির দাইরের পাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনার পর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী আবদুল ওহাব পরাজিত হন। তবে ফলাফল মেনে নেননি ওহাবের ছেলে। তিনি উত্তেজিত হয়ে কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যান। কিছুক্ষণ পর অর্ধশতাধিক লোক নিয়ে পুলিশের গাড়িতে হামলা চালান। এ সময় পুলিশ গুলি করে। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও এলোপাতাড়ি গুলিতে পুলিশের রিকুইজিশন করা অটোরিকশাচালক আরিফ মিয়া গুরুতর আহত হন। পরে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, ‘চান্দেরকান্দিতে কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়ার সময় সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে পুলিশ জানমাল ও ব্যালট বাক্স রক্ষার্থে গুলি ছোড়ে। তবে সেখানে আরিফ পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন কিনা জানি না। তবে উত্তর বাখরনগরে যে ব্যক্তি মারা গেছেন, তিনি পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন। কারণ সেখানেও একই ঘটনা ঘটেছে। এ দুই ঘটনায় রায়পুরা থানায় ওই দুই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় চান্দেরকান্দি থেকে ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ