অর্থাভাবে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি অনিশ্চিত, ঠিক তখনই মেধাবী ছাত্র রঞ্জন রায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে নীলফামারী পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক)। তিনি ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের মির্জাগঞ্জ গ্রামের রমেশ চন্দ্র রায়ের ছেলে।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে রঞ্জন রায়ের হাতে নগদ ২০ হাজার টাকা তুলে দেন সংগঠনের সভানেত্রী তাসমিয়া জান্নাত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম, কোর্ট ইন্সপেক্টর মোমিনুল ইসলাম মোমিন, রঞ্জনের বাবা রমেশ চন্দ্র রায়, মা নমিতা রানী রায়, প্রেসক্লাবের সভাপতি তাহমিন হক ববি, সহসভাপতি ভুবন রায় নিখিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিল্লাদুর রহমান মামুন, দফতর সম্পাদক নূর আলম।
এর আগে, রঞ্জন রায় এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তির সুযোগ পান। কিন্তু অর্থাভাবে তাঁর ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। বিষয়টি পুনাক কেন্দ্রীয় সভাপতি বাংলাদেশ পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদের পত্নী জীশান মীর্জা জানতে পেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন জেলা পুনাক সভাপতিকে।
জেলা পুনাক সভাপতি সহকারী অধ্যাপক তাসমিয়া জান্নাত বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত এবং গর্বিত, মেধাবী ছাত্র রঞ্জনের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ পেয়ে। শিক্ষকতার কারণে অনেক শিক্ষার্থীর পাশে থাকার যে অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে নীলফামারীর প্রত্যন্ত গ্রামের মেধাবী এই ছাত্র তাঁদের চেয়ে অন্যরকম। তাঁর যদি আরও সহযোগিতার প্রয়োজন হয় সেগুলো সমাধানে আমি পাশে থাকব।’