যশোর সদরে অসীম ডায়াগনস্টিক সেন্টারের তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গর্ভে জীবিত সন্তান থাকা সত্ত্বেও মৃত বলে প্রসূতিকে চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
গত বুধবার জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন অসীম ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালের প্রসূতি বিশেষজ্ঞ সার্জন নিলুফার ইয়াসমিন এমিলি, আবু সাঈদ (রেডিওলজি অ্যান্ড ইমাজিং) ডা. এ কে এম আব্দুল আওয়াল (ক্লিনিক্যাল প্যাথলজি)।
গত বুধবার ওই নারীর ভাই শেখ শাওন মাহমুদ এ মামলা করেন। তাঁদের বাড়ি বাঘারপাড়ার পাঠান পাইকপাড়া গ্রামে।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তাঁর অন্তসত্ত্বা বোন শেখ নাজমুন নাহার সুমি ও স্বামী রবিউল ইসলাম সম্প্রতি সমস্যা নিয়ে অসীম ডায়াগনস্টিক সেন্টার অ্যান্ড হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসক নিলুফার ইয়াসমিন এমিলি, আবু সাঈদ ও এ কে এম আব্দুল আওয়াল পরীক্ষা করে জানান, পেটের সন্তান বেঁচে নেই। পরে তাঁরা তাঁকে সেখানে জোর করে ভর্তি রেখে গর্ভপাত করানোর জন্য চেষ্টা করেন।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, একপর্যায়ে তাঁরা অন্য এক হাসপাতালে পরীক্ষা করলে চিকিৎসক জানান, সন্তান বেঁচে আছে। তবে মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।