আগৈলঝাড়ায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিন নতুন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হচ্ছেন। এঁদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা বেশি বলে জানা গেছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে। এ ছাড়া হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন ১৫-২০ জন নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত তিন দিনে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানা গেছে। গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন মোল্লাপাড়া গ্রামের মামুন হাওলাদারের চৌদ্দ মাস বয়সের মেয়ে আবিদা, গৈলা গ্রামের মনিরুজ্জামান তালুকদারের দুই বছরের মেয়ে তোরামনি, পূর্বসুজনকাঠি গ্রামের এনামুল হকের আট মাসের ছেলে নাবিল, কান্দিরপাড় গ্রামের প্রশান্ত মুন্সির দশ মাস বয়সের মেয়ে অংকিতা মুন্সি। ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন পূর্বসুজনকাঠি গ্রামের মিলন ফকিরের বিশ মাস বয়সের ছেলে মুজাহিদ, শাহজাহান হাওলাদারের ছেলে ফারুক হাওলাদার (৪৮), উত্তর শিহিপাশা গ্রামের হানিফ হাওলাদারের ছয় মাসের মেয়ে হাফসা, বাকাল গ্রামের অমূল্য দাসের ছেলে অসিত দাস (৪০), বিলগাববাড়ি গ্রামের বিবেক দাসের নয় মাসের ছেলে বাপ্পি দাস, নগরবাড়ি গ্রামের শমচুল হক হাওলাদারের স্ত্রী সফুরা বেগম (৮০) ও মধ্যশিহিপাশা গ্রামের আব্দুর রব হাওলাদারের স্ত্রী সুফিয়া বেগমসহ (২৭) ১১ জন। এ ছাড়া ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ব্রজেন সরকার নামে এক ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। হঠাৎ করে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এ ধরনের রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকেরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বখতিয়ার আল মামুন বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শিশু ও বৃদ্ধদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগ দেখা দিয়েছে। অন্য সময়ের চেয়ে বর্তমানে রোগীর সংখ্যা একটু বেশি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর জন্য সব ধরনের ওষুধ ও স্যালাইন পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে।