শাল্লায় প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনীর টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তপন কান্তি পালের বিরুদ্ধে।
গত বুধবার প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) সহযোগিতায় এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠান হয়। এতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দ অনুযায়ী খরচ না করে টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে অভিযোগ জনপ্রতিনিধি ও খামারিদের।
প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ প্রদর্শনীর প্যান্ডেলের জন্য ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আগতদের জন্য ৩০০ লোকের খাবারের বরাদ্দ ছিল ৬০ হাজার টাকা। অনুষ্ঠানে ৫০ জন বিশেষ অতিথির জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এদিকে টিকা ও ওষুধের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫ হাজার টাকা। অনুষ্ঠানে পশুপাখি নিয়ে আসার পরিবহন খরচের জন্য আলাদা বরাদ্দও দেওয়া হয়। এ ছাড়াও বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণসহ বিভিন্ন খাতে মোট ২ লাখ ৪৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
কিন্তু এসব বরাদ্দ দেওয়ার পরও এই অনুষ্ঠানটি জাঁকজমকভাবে পালন করা হয়নি। কাগজে কলমে বিভিন্ন খাতে বরাদ্দের ব্যয় দেখানো হলেও বাস্তবে কোনো মিল পাওয়া যায়নি। অনুষ্ঠানের সাজসজ্জা বাবদ ডেকোরেটরের নামে ৬৯ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়।
তবে ওই ডেকোরেটরের মালিক দিজেন দাসের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এ অনুষ্ঠানের খরচ পেয়েছেন ২৭ হাজার টাকা। এমনকি ৩০০ ব্যক্তির খাবারের বরাদ্দ থাকলেও এসব খাবার দেওয়া হয়নি।
৫০ জন বিশেষ অতিথির জন্য ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও এসব কোনো কিছুরই আয়োজন করা হয়নি। টিকা, ওষুধ ও খামারিদের পরিবহন খরচ দেওয়ার কথা থাকলেও এসব টাকা দেওয়া হয়নি বলে কয়েকজন খামারিরা জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠানের সদস্যসচিব তপন কান্তি পাল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘বরাদ্দ অনুযায়ী বিল পরিশোধ করেছি। এখানে কোনো কারচুপি করেনি। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সঠিক নয়।’
ডেকোরেটরের টাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘৬৯ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এই বরাদ্দ অনুযায়ী সকল টাকা ডেকোরেটার মালিককে দেওয়া হয়।’
প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তালেব বলেন, ‘আমি কমিটির সভাপতি হলেও আমাকে কিছু জানানো হয়নি। এই বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলব।’