Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

খানাখন্দ ও ধুলায় চলা দায়

সাইফুল আলম তুহিন, ত্রিশাল

খানাখন্দ ও ধুলায় চলা দায়

ত্রিশালে খানাখন্দে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে স্থানীয় অনেক সড়ক। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অতিরিক্ত ধুলাবালু। এতে একদিকে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ, আবার সড়কে স্বাভাবিকভাবে চলাচলেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ধুলাবালুতে দেখা দিচ্ছে শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জিসহ নানা রোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা সড়কগুলো সংস্কারের পাশাপাশি ধুলামুক্ত করতে পানি ছিটানোর দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পৌরসভার মূল সড়ক, ত্রিশাল-পোড়াবাড়ী সড়কসহ ছোটবড় অসংখ্য সড়কে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ। কয়েকটি সড়কে চলছে সংস্কারকাজ। একদিকে ভাঙাচোরা সড়ক, অন্যদিকে ধুলাবালু। এসব সড়ক দিয়ে বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলের সময় ধুলাবালুর কারণে পথচারী, দুই পাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাসিন্দাদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে।

ত্রিশাল-পোড়াবাড়ী সড়কের মুদি দোকানি দেলোয়ার বলেন, ‘খানাখন্দ ভরা সড়কের কারণে পথে চলতে সমস্যা হয়। আবার অতিরিক্ত ধুলার কারণে দোকান খুলে বসা দায় হয়ে পড়েছে।’

একই এলাকার বাসিন্দা রিয়াদ বলেন, ‘রাস্তা ভাঙা, দীর্ঘদিন দাবি জানিয়েও সংস্কার হয়নি। বাস-ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহন চলাচলের সময় অতিরিক্ত ধুলার কারণে এলাকায় বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে।’

সরেজমিন দেখা যায়, সড়কগুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বালুবাহী ও মাটিবাহী বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। বিভিন্ন ইটভাটায় এসব বহন করা হচ্ছে। জানা গেছে, উপজেলার বেশির ভাগ ইটভাটা গড়ে উঠেছে জনবহুল এলাকায়। এতে জনদুর্ভোগ আরও বেড়েছে। যেখানেই ইটভাটা রয়েছে, সেখানে ধুলোবালির ছড়াছড়ি। যানবাহন চলাচলের সময় এ ধুলাবালিতে সামনের কিছু দেখা যায় না। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নাক-মুখ চেপে চলতে হয়।

রাগামারা বাজারের ব্যবসায়ী এমদাদ হোসেন বলেন, ‘রাগামারা বাজার হতে নওপাড়া রোডে সড়কের কাছাকাছি বেশ কয়েকটি ইটভাটা রয়েছে। এতে তৈরি হয়েছে ধুলাবালি। এ রোডে নিয়মিতই চলছে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। এ ছাড়া ইটভাটার মাটি ও ইটবাহী গাড়িগুলোর আনাগোনা বেশি থাকায় এক কিলোমিটার পাড়ি দিতেই শরীরে ধুলোবালি ভরে যায়।’

পৌরসভার বাসিন্দা সুমন বলেন, ‘পৌরসভার মূল সড়ক ভাঙাচোরা থাকায় কিছু যানবাহন বিকল্প পথে যাতায়াত করছে। সড়কের পাশেই বিভিন্ন পণ্য রাখার গোডাউনে খৈল, ভুসি, আটা, ময়দা, ভুট্টা, শুঁটকিসহ নানা ধরনের দ্রব্য রাখা হয়, কিছু পড়ে যায়। ভাঙাচোরা সড়কে যানবাহন চলাচলের সময় এসব উড়ে গিয়ে মানুষের নাকেমুখে ঢুকছে। এ ছাড়া চরম মাত্রার বায়ু দূষণ হচ্ছে। ২০২০ সালে ত্রিশাল ও ঢাকার সাভার বায়ু দূষণের রেকর্ড করেছিল। এবার তার চেয়েও বেশি বায়ুদূষণ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।’

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ধুলাবালুর কারণে শ্বাসনালি, অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস ও ফুসফুসে ক্যানসারসহ চর্ম রোগ হতে পারে। এখন ধুলাবালু বেড়ে যাওয়ায় এসব রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েছে। বিশেষ করে শ্বাসজনিত রোগী বেশি আসছে। যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হন। তবে যাঁরা জন্মগতভাবে শ্বাসকষ্টের রোগী, তাঁদের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে ধুলাবালু।’

উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এ সময় সাধারণত ধুলোবালি একটু বেশি থাকে। গুরুত্ব অনুসারে রাস্তার কাজ দ্রুত করা হবে। ত্রিশাল-পোড়াবাড়ী সড়ক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে করা হবে। আর ধুলাবালি নিয়ন্ত্রণে আপাতত পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ