Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

শরীয়তপুরে ২২ বালিকা বিদ্যালয়ে ‘কন্যাসাহসিকা’

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

শরীয়তপুরে ২২ বালিকা বিদ্যালয়ে ‘কন্যাসাহসিকা’

কিশোরীদের বয়ঃসন্ধিকালের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে শরীয়তপুরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ২২টি বালিকা বিদ্যালয়ে ‘কন্যাসাহসিকা’ নামে আধুনিক বিশ্রামাগার ও ওয়াশ ব্লক নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে জেলার সব বালিকা বিদ্যালয়ে নির্মাণ করা হবে এই বিশ্রামাগার ও ওয়াশ ব্লক। এতে খুশি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক।

ছাত্রীদের বয়ঃসন্ধিকালের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে এ স্বস্তির ঠিকানা নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান। বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের অর্থায়নে এ কন্যাসাহসিকা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে শরীয়তপুর জেলার সব বিদ্যালয়ে কিশোরীদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত বিশ্রামাগার ও ওয়াশ ব্লক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ২২টি বালিকা বিদ্যালয়ে এ বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হচ্ছে। পরে ধারাবাহিকভাবে জেলার সব বিদ্যালয়ে এ কন্যাসাহসিকা নির্মাণ করা হবে। বিদ্যালয়ের একটি ভবনে একটি চেঞ্জরুম (পোশাক পরিবর্তনের কক্ষ), ড্রেসিংরুম, হাই কমোডসহ টয়লেট, বিশ্রামের জন্য খাট ও সময় কাটানোর জন্য বুকশেলফে রাখা হয়েছে বই। বিভিন্ন শোবিজ ও পেইন্টিং দিয়ে কক্ষগুলো সাজানো হয়েছে। এ ছাড়া ঋতুস্রাবের সময় ব্যবহারের জন্য নানা সুরক্ষা সামগ্রী রাখা হয়েছে।

ইদিলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোবারক মিয়া বলেন, ‘গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে সাধারণ টয়লেট থাকে। কিন্তু ঋতুস্রাবের সময় কিশোরীদের অনেক ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে হয়, যা তারা শিক্ষক ও বান্ধবীদের জানাতে পারে না। এতে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ কারণে অনেক সময় অভিভাবকেরা ও শিক্ষকেরা বকাঝকা করেন। তখন তারা মানসিকভাবে আরও ভেঙে পড়ে। গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে কিশোরীদের জন্য নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক কক্ষের ব্যবস্থা রাখা সম্ভব হয় না। আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ বিশ্রামাগার ও ওয়াশ ব্লক সারা দেশের গ্রামের বিদ্যালয়গুলোতে মডেল হয়ে থাকবে।’

কালেক্টরেট পাবলিক হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক সেলিনা আক্তার বলেন, ‘বয়ঃসন্ধি পার করার সময় কিশোরীরা অনেক মানসিক ও শারীরিক সমস্যা মোকাবিলা করে। বিদ্যালয়ে এসে তারা বিড়ম্বনায় পড়ে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পরে ঋতুস্রাবের সময়ে। কিন্তু অধিকাংশ বিদ্যালয়ে থাকে না তাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ। এতে তাদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তখন অধিকাংশ মেয়েরা বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। বয়ঃসন্ধিকালীন কিশোরীদের জন্য কন্যা সাহসিকা নামে ওয়াশ ব্লক ও বিশ্রামাগার অনেক স্বস্তি ও শান্তি দেবে।’

শিক্ষার্থীরা জানায়, কন্যাসাহসিকা নামে যে ওয়াশ ব্লক ও বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়েছে, তা তাদের অনেক স্বস্তিদায়ক। তারা ঋতুস্রাবের সময় স্বচ্ছন্দে বিদ্যালয়ে আসতে পারবে। বিনা পয়সায় বিভিন্ন প্রসাধনী ও উপকরণ ব্যবহার করতে পারবে।

শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কিশোরীরা ঋতুস্রাবের সময় অনেক ভয়ের মধ্যে থাকে। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার পরিবেশ বিদ্যালয়ে থাকে না। এ কারণে ওই সময়ে অনেকে বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দেয়। এভাবে অনেক কিশোরী শিক্ষাজীবন থেকেও ঝরে পরে। ওই কিশোরীদের স্বস্তির সুবাতাস দেওয়ার জন্য জেলার ২২টি বালিকা বিদ্যালয়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রেখে ওয়াশ ব্লক ও বিশ্রামাগার নির্মাণ করা হয়েছে ৷ পর্যায়ক্রমে জেলার সব বিদ্যালয়ে এ কার্যক্রম চালু করা হবে।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ