বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্য সহায়তা পেল করোনা মহামারি দুর্যোগে কাজ না থাকা শতাধিক পরিবার।
এঁদের অনেকে লজ্জায় সাহায্যও চাইতে পারছিলেন না। এসব মানুষের অসহায়ত্বের কথা ভেবে সরকার চালু করে জাতীয় কল সেন্টার। অসহায় মানুষেরা ৩৩৩ নম্বরে ফোন করলে তাদের খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে
জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদের সামনে অসহায় দরিদ্র মানুষদের মাঝে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাশেম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোশাররফ হোসাইন, একাডেমিক সুপারভাইজার প্রাণ কুমার ঘটক।
৩৩৩ নম্বরে ফোন দেওয়া ১০০ অসহায় পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার তেল, ১ কেজি লবণ, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি আলু এবং ১টি করে সাবান দেওয়া হয়েছে।
খাদ্য সহায়তা নিতে আসা বাকাল গ্রামের দুই নারী বলেন, করোনার মধ্যে কাজ পারিনি। লজ্জায় কারও কাছে হাত পাততে পারিনি। তাই ৩৩৩ নম্বরের বিষয়টা জানার পর সেখানে ফোন দেন। এখন চাল, ডালসহ খাদ্য সামগ্রী পেয়ে খুব ভালো লাগছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোশাররফ হোসাইন জানান, জাতীয় দুর্যোগসহ করোনা কালীন সময়ে দুস্থ পরিবারের সদস্যেরা জাতীয় হেল্প লাইন ৩৩৩ কল সেন্টারে ফোনের মাধ্যমে সহায়তা চাওয়ায় তাদের সহায়তা দিয়েছে সরকার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাশেম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৩৩-এ কল করা অসহায় ব্যক্তিসহ উপজেলার কর্মহীন মানুষদের খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, করোনাকালে সহায়তা দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসন সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। শুধু ৩৩৩ নম্বরেই নয়, অফিসে এসে সরাসরি যোগাযোগ করলেও যাচাই-বাছাই পূর্বক খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে।