জামালপুরের মেলান্দহে গ্রামীণ নারীদের বাল্যবিবাহ রোধ, নারীর প্রতি সহিংসতা, জঙ্গিবাদ সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি ও সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদের স্বনির্ভর হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সরকারের ‘তথ্য আপা ’প্রকল্প।
জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন তৃণমূল পর্যায়ে নারীদের এগিয়ে নিতে আলোর পথ দেখাচ্ছেন ‘তথ্য আপা’। তথ্য কেন্দ্রে নারীদের সমস্যা চিহ্নিত করে, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা ও পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে নারীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে কাজ করছে তথ্য আপা।
তথ্য কেন্দ্রে ছাড়াও তথ্য আপারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ও গ্রামের দরিদ্র নারীদের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন সেবা প্রদান করে আসছেন। এ ছাড়াও তথ্য আপারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে উঠান বৈঠক করে নারীদের বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন করে তুলছেন। ইতিমধ্যে এই তথ্য কেন্দ্রটি অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত নারীদের কাছে ভরসাস্থল হয়ে উঠছে।
উপজেলা ‘তথ্য আপা’ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দুইটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়নে পিছিয়ে পড়া নারীদের নিয়ে কাজ করছে তথ্য আপা। এ তথ্য আপা কেন্দ্রে একজন তথ্য আপা (তথ্য সেবা কর্মকর্তা) ও দুজন সহকারী রয়েছেন। তথ্য আপা দ্বিতীয় প্রকল্পে এ তথ্যকেন্দ্র উঠান বৈঠকের মাধ্যমে সেবা প্রদান করা হয় ১ হাজার ৮৭৫ জনকে। ডোর টু ডোর সেবা প্রদান করা হয় ১৩ হাজার ৭৪৩ জনকে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে তৃণমূলের নারীদের নিয়ে চলে উঠান বৈঠক। বৈঠকে অংশ নেন বিভিন্ন দপ্তরের বিভাগীয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, উপজেলার কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা। শিক্ষা, কৃষি, আইন, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, চাকরির আবেদন, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিডি কার্ডসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা হয় বৈঠকে অংশ নেওয়া নারীদের।
উপজেলার ফুলকোচা গ্রামের তাহমিনা আক্তার বলেন, তথ্য আপা অফিসে গিয়ে দুইবার চাকরির আবেদন করেছি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসা সেবাও দিচ্ছে, ধন্যবাদ জানাই তথ্য আপাকে।
নয়ানগর ইউনিয়নের বুরুঙ্গা এলাকায় ফুলবানু বলেন, কয়দিন আগে বাড়িতে আসছিল। ডায়াবেটিস পরীক্ষা করছি টাকা-পয়সা লাগে নাই। আমার মেয়েও ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করছে তাদের অফিস গিয়ে।
তথ্য সেবা কর্মকর্তা সানাজিদা আক্তার বলেন, জাতীয় মহিলা সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন তথ্য আপা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন প্রকল্পের তথ্য কেন্দ্রে। তৃণমূলের নারীদের সেবা প্রদান করাই এই প্রকল্পের কাজ। আমরা পিছিয়ে পড়া নারীদের নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রামীণ সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া
নারীর দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানের কাজ করছে। এ প্রকল্পের আওতায় নারীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সহযোগিতা করা হচ্ছে।