Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

মিথানল ভর্তি ড্রাম ফুলে ওঠায় বিস্ফোরণ আতঙ্ক

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি

মিথানল ভর্তি ড্রাম ফুলে ওঠায় বিস্ফোরণ আতঙ্ক

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে মিথানল ভর্তি ৩টি ড্রাম ফুলে বিস্ফোরণ আতঙ্ক সৃষ্টি হওয়ায় ড্রামগুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গত রোববার রাত ১০টায় ড্রামগুলো বন্দরের ৩২ নম্বর ইয়ার্ড থেকে সরিয়ে বন্দরের বাইরে নেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, বন্দরের ৩২ নম্বর পণ্যগারের সামনে পণ্য খালাস করছিলেন তাঁরা। এ সময় দেখতে পান মিথানল ভর্তি কেমিক্যালের কয়েকটি ড্রাম ফুলে আয়তন বৃদ্ধি পেয়েছে। পরে তাঁরা বন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এসে ড্রামগুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়। এদিকে কেমিক্যাল ড্রাম বিস্ফোরণের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তে বন্দরের জড়ো হয় বন্দর কর্মকর্তা, আমদানিকারকদের প্রতিনিধি ও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীরা।

সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বন্দরে জায়গা সংকটের কারণে সাধারণ কেমিক্যালের পণ্যগারে রাখা হয় ঝুঁকিপূর্ণ দাহ্য পদার্থ। এ ধরনের কেমিক্যাল নিজে নিজেই তেজস্ক্রিয় হয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ ধরনের অগ্নিকাণ্ডে প্রতিবছর শত শত কোটি টাকার পণ্য পুড়ে যায়। কিন্তু সেদিকে নজর নেই কর্তৃপক্ষের।

বেনাপোল আমদানি, রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, বন্দরের ধারণ ক্ষমতা ৪৫ হাজার মেট্রিক টন। তবে এখানে সব সময় পণ্য থাকে প্রায় আড়াই লাখ মেট্রিক টন। জায়গার অভাবে সাধারণ পণ্য নামাতে হচ্ছে ঝুঁকির মধ্যে। তবে দুর্ঘটনা এড়াতে নজর কম বন্দরের।

বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) সঞ্জয় বাড়ৈ জানান, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় মিথানল ভর্তি ৩টি ড্রাম ফুলে উঠে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ড্রামগুলো নিরাপদ স্থানে নেওয়া হয়। কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।

সঞ্জয় বাড়ৈ আরও বলেন, কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য রাখার জন্য তাঁদের আলাদা শেড রয়েছে। তবে অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ দাহ্য পদার্থ নিরাপদে রাখার জন্য আধুনিক শেড তৈরির পরিকল্পনা বন্দরের রয়েছে।

বন্দর সূত্রে জানায়, গত এক যুগে এ বন্দরে ছোট বড় অন্তত ৭টি অগ্নিকাণ্ডে কয়েকশ কোটি টাকার আমদানি পণ্য পুড়ে ক্ষতির শিকার হয়ে পথে বসেছেন আমদানিকারকেরা। তবে বারবার এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও সতর্কতায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো বা জনবল বাড়েনি বন্দরে। এতে বন্দরে আগুন লাগলে যশোর, মনিরামপুর, খুলনা কখনো ভারতের ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে তাঁরা বন্দরে পৌঁছানোর আগেই পণ্য পুড়ে শেষ হয়ে যায়।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ