কামরুজ্জামান রাজু, কেশবপুর (যশোর)
যশোরের কেশবপুর উপজেলায় বুড়িভদ্রা নদীর উপচে পড়া পানিতে তলিয়ে নষ্ট হচ্ছে ধানের বীজতলা। এতে বোরো আবাদ নিয়ে
বিপাকে পড়েছেন চর এলাকার সাত গ্রামের কৃষক। বীজতলা রক্ষায় প্রতিদিন জমি থেকে পানি অন্যত্র ফেলতে হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে পানি সেচ দিতে গিয়ে কৃষককে গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।
কৃষকদের অভিযোগ, মাছের ঘেরের পানি সেচ দিয়ে নদীতে ফেলায় পানি উপচে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে বুড়িভদ্রা নদীর চর এলাকা উপজেলার মজিদপুর ও দোরমুটিয়ায় গিয়ে দেখা গেছে, নদীর উপচে পড়া পানিতে ধানের বীজতলা তলিয়ে নষ্ট হচ্ছে। কৃষকেরা শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে পানি সেচ দিয়ে বীজতলা রক্ষা করছেন। দিনের পর দিন পানি বাড়ার কারণে বোরো আবাদ নিয়েও শঙ্কিত কৃষকেরা।
উপজেলার দোরমুটিয়া গ্রামের কৃষক বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘নদীপাড়ে দেড় বিঘা জমিতে বোরো আবাদের জন্য বীজতলা তৈরি করেছিলাম। নদীর উপচে পড়া পানিতে বীজতলা তলিয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’ সাবদিয়া গ্রামের কৃষক অলিয়ার রহমান বলেন, ‘৩ কাঠা জমির বীজতলা নদীর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে সেচ দিয়ে বীজতলা রক্ষা করার চেষ্টা করছি। মাছের ঘেরের পানি সেচ দিয়ে নদীতে ফেলায় এ অবস্থা হয়েছে।’
দোরমুটিয়া গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, নদীর পানি নিষ্কাশনের মাধ্যমে বোরো আবাদ করার উপযোগী করে তুলতে কৃষকদের পক্ষ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে লিখিত দেওয়া হয়েছে।
কেশবপুর সদর ইউনিয়নের দোরমুটিয়া গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কামাল উদ্দিন বলেন, নদী চর এলাকার মির্জাপুর, মজিদপুর, সাবদিয়া, বায়সা, ভোগতিনরেন্দ্রপুর, দোরমুটিয়া ও জাহানপুর গ্রামের কৃষকদের ধানের বীজতলা পানিতে ডুবে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে কৃষকেরা বোরো আবাদ করা থেকে বঞ্চিত হবেন।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন শিকদার বলেন, আপারভদ্রা নদীর পানি বুড়িভদ্রায় ঢুকে পড়ার কারণে নদীতীরবর্তী কিছু নিচু জমিতে পানিতে উঠেছে। বুড়িভদ্রা নদী নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।