শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্বাক্ষর জাল করে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব (আইন) মো. মাহবুবার রহমান সরকারকে ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে সরেজমিন তদন্ত করে কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে ওই চিঠি জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়।
১১ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার চিতলিয়া ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের অভিযোগে নির্ধারিত কার্যবিধি অনুযায়ী অনুসন্ধানপূর্বক তদন্ত করার জন্য নির্বাচন কমিশনকর্তৃক সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শরীয়তপুরের চিতলিয়া ইউপি নির্বাচনে ২৭ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দের দিন প্রতীক নিতে এসে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়েছে বলে জানতে পারেন অনেক সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যরা। এ সময় মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ফরমে তারা স্বাক্ষর করেননি, তাঁদের স্বাক্ষর জাল করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অভিযোগ করেন অনেক প্রার্থী।
সম্প্রতি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে কথা-কাটাকাটির একটি ভিডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পরে স্থানীয়দের মধ্যে। ভিডিওটিতে দেখা যায়, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হওয়া এক প্রার্থীকে উদ্দেশ করে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলছেন, ‘এমপি স্যারের সঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছে-চিতলিয়া ইউপিতে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না, সবাই সিলেকশনে হবে, এ কথা এমপি স্যার বলেছেন।’
তবে স্থানীয় সাংসদ ইকবাল হোসেন অপুর দাবি এই ধরনের কোনো বিষয় তিনি কাউকে কিছু বলেননি। কেন বা কি উদ্দেশ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর নামে এমন অপপ্রচার চালিয়েছেন তা তিনি জানেন না। আর রিটার্নিং কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, কেন বা কি উদ্দেশ্যে তিনি এমপির নাম বলেছেন তা তিনি বুঝতে পারছেন না। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়া সব প্রার্থী নির্বাচনের বিধি মেনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
‘চেয়ারম্যানসহ সবাই বিনা ভোটে নির্বাচিত’ শিরোনামে ২৮ অক্টোবর দৈনিক আজকের পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে নির্বাচন কমিশনের। ওই দিনই বিষয়টি তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।