প্রথম ম্যাচে ৬-০ ব্যবধানের বড় জয়ে আছে তৃপ্তি। তাতে বেড়েছে আত্মবিশ্বাস। আছে জয়ের ক্ষুধাও। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে আজ দ্বিতীয় ম্যাচেও একই প্রত্যয় নিয়ে খেলতে চান সাবিনারা।
তবে প্রথম ম্যাচের মতো আজ প্রতিপক্ষকে সহজেই যে হারানো যাবে না, এমনটাই ধারণা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন ও অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের। কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া ম্যাচ নিয়ে যথেষ্ট সতর্ক বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে যাঁরা খেলেছেন, গত দুই দিন তাঁরা অনুশীলনই করেননি। দলে আছে ছোটখাটো চোটাঘাত। প্রথম ম্যাচে দুরন্ত গতিতে মালয়েশিয়ান মেয়েদের নাভিশ্বাস তুলে দেওয়া উইঙ্গার সিরাত জাহান স্বপ্না চোটে পড়েছেন। দ্বিতীয় ম্যাচে অনিশ্চিত তিনি। ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুনের কোমরে ব্যথা আছে। প্রথম ম্যাচে খেলেননি তিনি। অধিনায়ক সাবিনা খাতুনেরও চোট সমস্যা আছে।
অন্য সময় হলে এসব চোট হয়তো দুশ্চিন্তায় ফেলে দিত ছোটনকে। প্রথম ম্যাচে ৬ গোলের জয় এমনই আত্মবিশ্বাসী করেছে দলকে যে এ নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না বাংলাদেশ কোচ। শিষ্যদের দিলেন নিজেদের সেরাটা দেওয়ার বার্তা। গতকাল ছোটন বলেছেন, ‘আমাদের সম্পর্কে মালয়েশিয়া এখন পুরো ধারণাটাই পেয়েছে। এ ম্যাচেও আমরা সর্বোচ্চটা দিয়েই খেলব, পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলব। আমরা ভালো খেলব, দর্শকদের আনন্দ দেব। উপভোগ্য ও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলব। যেহেতু আমরা প্রথম ম্যাচ জিতেছি, পরের ম্যাচ জিততে মেয়েরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।’
অধিনায়ক সাবিনা আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বললেন, তাঁরা জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান, ‘আমরা এখনো আত্মবিশ্বাসী। মনোযোগ সরাচ্ছি না, সরানোর উপায় নেই। যেহেতু মালয়েশিয়া আগের ম্যাচে হেরেছে, এ ম্যাচে ওরা আরও ভালোভাবেই ফেরার চেষ্টা করবে।’
আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দর্শকদের দিতে চায় ভালো ম্যাচ উপভোগের তৃপ্তি। বয়সভিত্তিক ফুটবলের সাফল্যে জাতীয় দলও যে পাল্টে যাচ্ছে, সেই বার্তাটাও মালয়েশিয়াকে দ্বিতীয় ম্যাচে হারিয়ে দিতে চান সাবিনারা। বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ‘আমাদের জাতীয় দল এখন ভালো করছে। জাতীয় দলের বড় একটা সাফল্য আসবে, ঘরের মাঠে সেটা বাংলাদেশের জন্য বড় একটা পাওয়া। গোল যদি ১০টা দেওয়ার সুযোগ থাকে, ১০টাই দিতে চাইব। মালয়েশিয়া যেহেতু প্রথম ম্যাচ হেরেছে, তারা ভালোভাবেই ফিরতে চাইবে।’