বান্দরবানের লামায় শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় পাল্টা মামলা করেছেন অভিযুক্তরা। এমনকি ধর্ষণচেষ্টার মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন তাঁরা। এতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে শিশুটির পরিবার।
গত ১৮ জুলাই বাড়িতে ঢুকে ভুক্তভোগীকে মুখ বেঁধে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বান্দরবানে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন মো. আমান উল্লাহর ছেলে মো. ইয়াসিন (২৩), ফেরদৌসের ছেলে মো. বেলাল (৩০) আব্দুল হামিদের ছেলে মনছুর আলম (৩০)। তাঁরা সবাই উপজেলার ইয়ায়ছা মৌজার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বনফুর এলাকার বাসিন্দা।
আর্জি সূত্রে জানা গেছে, ঘটনা জানাজানি পর ফাঁসিয়াখালী ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুর রহিম আসামিদের পুলিশে সোপর্দ না করে জোরপূর্বক মুচলেকা আদায় করেন। এমনকি ভুক্তভোগীর সঙ্গে বিয়ের শর্তে প্রধান আসামি ইয়াসিনকে ছেড়ে দেন।
এদিকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগীসহ পরিবারের ৭ জনকে আসামি করে লামা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন প্রধান অভিযুক্ত মো. ইয়াছিনের বাবা আমিনুল ইসলাম। এ বিষয়ে জানতে তাঁদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা কোনো বক্তব্য দেবেন না বলে জানান।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা জানান, ‘আমার ১২ বছরের মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার করেছে। এখন সেই ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য ইয়াছিনের বাবা একটি কাল্পনিক ঘটনা সাজিয়ে মেয়েসহ পরিবারের ৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছে। তারা মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এ ছাড়া আমার মেয়েকে হত্যা করবে বলে বলে বেড়াচ্ছে।’
ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুর রহিম বলেন, ‘(ধর্ষণ চেষ্টার) ঘটনা সত্য। মেয়ের বয়স কম বিধায় আমি একটি আপসনামা করে দিয়েছি।’
থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘হুমকি দেওয়ার বিষয়ে আমরা কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।’