আহমেদ রিয়াদ, দিল্লি থেকে
কদিন ধরেই মাহমুদউল্লাহর বিদায় নিয়ে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগেই অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কথায় সে রকম ইঙ্গিত মিলেছিল। কাল সব গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসরের ঘোষণা দেন মাহমুদউল্লাহ। এতে সমাপ্তি ঘটছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তাঁর দীর্ঘ ১৭ বছরের ক্যারিয়ারের। ভারতের বিপক্ষে চলতি সিরিজই তাঁর বাংলাদেশের হয়ে শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
তবে ৩৯ ছুঁই ছুঁই মাহমুদউল্লাহ ওয়ানডে চালিয়ে যাবেন আরও কিছুদিন। গুঞ্জন আছে, ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়ে তিনি ৫০ ওভারের ক্রিকেট ছাড়বেন। বিদায় জানাতে কেন এই সিরিজকেই বেছে নিলেন মাহমুদউল্লাহ, সেটির ব্যাখ্যায় জানিয়েছেন, দেশ থেকে বিদায় নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও সেটা অনেক দেরি হয়ে যাবে বলে এই সিরিজকে বেছে নিয়েছেন। মাহমুদউল্লাহ বললেন, ‘ভারত সিরিজের অনুশীলন শুরুর সময়ই এসব (অবসর) নিয়ে আলোচনা শুরু করেছিলাম। পরিবার শুরুতে বোঝেনি, তারা ভেবেছিল, এটা সঠিক সময় নয়। নানাভাবে পরিবারকে বুঝিয়েছি, এরপর তারা বুঝেছে। বোর্ড সভাপতি ও নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলেছি।’ সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল, কণ্ঠ ভারী হয়ে আসছে তাঁর, হয়ে পড়ছিলেন আবেগতাড়িত। আবেগ সামলে বাস্তবতা সামনে এনে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আমার ওয়ানডেতে মনোযোগ দেওয়ার সময় এসেছে। পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (২০২৬) কথা চিন্তা করলে দলের জন্যও এটা সঠিক সিদ্ধান্ত।’
বিদায়বেলায় আলোচনা-সমালোচনা, সাফল্য-ব্যর্থতা—কোনো কিছুতেই আক্ষেপ নেই মাহমুদউল্লাহর, ‘আমার কোনো আক্ষেপ নেই। একফোঁটাও আক্ষেপ নেই। বাংলাদেশের হয়ে খেলার সময় কোনো পর্যায়ে কখনোই আমার আক্ষেপ ছিল না। আমি সব সময় টিম ম্যান হতে চেয়েছি, যে পজিশনেই খেলি না কেন।’