ধনবাড়ীতে পুলিশি হয়রানিতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান এজেন্টের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া অপর এজেন্ট মফিজুল ইসলামকেও পুলিশ হয়রানি করেছে বলে জানান স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন তালুকদার মিন্টু। গত মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে মোতাহের হোসেনের মৃত্যু হয়।
নিহত মোতাহের ওই ইউনিয়নের জমশেরপুর (উত্তরপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন তালুকদার মিন্টু এবং নিহতের স্ত্রী-সন্তান পুলিশের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তোলেন।
নিহতের ছেলে মিজানুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার দিন রাত আড়াইটার দিকে ধনবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ আমাদের বাড়িতে এসে ডাকাডাকি শুরু করে। তারা গেটে ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে শব্দ পেয়ে মা ঘরের দরজা খুলে দেন।’
মিজানুর আরও বলেন, ‘এ সময় তারা এ বাড়িতে অস্ত্র ও বোমা রাখা আছে বলে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। আমরা এগুলো খোঁজে বের করতে বললে ঘরে প্রবেশ করে বাবাকে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসে। এতে বাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন জাকির বলেন, ভাব ধরছিস। পরে আবার আসব বলে তারা চলে যায়। তারা চলে যাওয়ার পর আমার বাবা ঘটনাস্থলেই মারা যান।’
উপপরিদর্শক জাকির হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে লোকজন দৌড়াদৌড়ি করতে থাকে। সেখানে ওই ব্যক্তি ছিল কি না আমার জানা নেই।’
ধনবাড়ী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. চান মিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, পুলিশ নিয়মিত টহলে গিয়েছিল। লোকজন পুলিশ দেখে ভয়ে দৌড় দেন। এখানে হয়রানির কোনো ঘটনা ঘটেনি।