Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

প্রচারে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

রাশেদুজ্জামান, মেহেরপুর

প্রচারে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

দুই দিন পর মেহেরপুর পৌরসভাসহ সদর উপজেলার চার ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহণ। পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্য দিয়ে শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত মেয়র ও চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। 
অনেকেই প্রচারে বাধা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা এবং নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ করছেন। কারও কারও দাবি, এ সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার দাবি, ভোটের পরিবেশ ভালো রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

মেহেরপুর পৌরসভায় নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন সদ্য বিদায়ী মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতীকে মাঠে রয়েছেন সাবেক মেয়র মুতাছিম বিল্লাহ মতু। জয়ের ব্যাপারে দুজনই আশাবাদী।

মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, ‘গত নির্বাচনে মানুষ আমাকে মেয়র নির্বাচিত করেছিলেন। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কাজ করেছি। বিশেষ করে করোনা মহামারিতে রোদ-বৃষ্টি ও সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দিয়েছি। কাজ করেছি শহরের উন্নয়নে। নালা ব্যবস্থা থেকে শুরু রাস্তা-ঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি  উন্নয়নের কাজও করেছি। এ কারণে মানুষ আবারও আমাকে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করবেন। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী টানা ২৪ বছর ক্ষমতা দখল করে রেখেছিলেন। মামলা করে নির্বাচন আটকে রেখেছিলেন। ফলে তাঁকে মানুষ কখনো গ্রহণ করবেন না।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী মুতাছিম বিল্লাহ মতু বলেন, ‘টানা ২৪ বছর ধরে মেহেরপুরের পৌরসভার মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছি। শহরকে একটি মডেল হিসেবে গড়ে তুলেছিলাম। মানুষ এখন পর্যন্ত আমাকে মনে রেখেছে। যেখানেই যাচ্ছি ভোটাররা আমাকে উৎসাহ দিচ্ছেন। বিগত দিনের কথা বিবেচনা করে মানুষ আমাকেই ভোট দেবেন। ইভিএমে নির্বাচন হওয়ায় আশা করি, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। এখন পর্যন্ত ভোটের পরিবেশ ঠিক আছে।’

ভিন্ন চিত্র মেহেরপুরের চার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের। ইতিমধ্যে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন নৌকা প্রতীক পাওয়া আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব বিশ্বাস। চার ইউপিতেই রয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী। আমঝুপি ও শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছে বিএনপির দুই নেতা। প্রার্থীদের মধ্যেও রয়েছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।

আমঝুপি ইউপির স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলাম এবার ঘোড়া প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি না, তা নিয়ে কিছুটা সংশয়ে আছি। কয়েক রাত ধরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে পুলিশ। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিপুল ভোটে জয়লাভ করব।’

বারাদি ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস প্রতীক) সালেহ আল আজিজ টরিক বিশ্বাস বলেন, ‘আমার প্রচারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে। এমনকি নিয়মের বাইরে একাধিক অফিস করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। আচরণবিধির বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করা হলেও এর কোনো সমাধান মেলেনি।’

আমঝুপি ইউপির আওয়ামী লীগের প্রার্থী বোরহান উদ্দীন চুন্নু বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার কোনো নেতা-কর্মী কারও প্রচার প্রচারণায় বাধা দেননি। বরং অনেকে নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগের ওপর দায় চাপাচ্ছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেও সবাই সমান সুযোগ পেয়ে নির্বাচনে প্রচার চালাচ্ছে।’

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু আনছার বলেন, ‘নির্বাচনে কিছুটা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ থাকবেই। এরপরও অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা কয়েকজন প্রার্থীকে মৌখিকভাবে সতর্ক করে দিয়েছি। ভোটের পরিবেশ ভালো রয়েছে। এবার ইভিএমে নির্বাচন হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।’

মেহেরপুরের একটি পৌরসভা ও ৪টি ইউনিয়ন পরিষদে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৮৮ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে নারী ৬০ হাজার ১৫৬, আর পুরুষ ভোটার ৫৯ হাজার ৮৩২ জন। 

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ