বাজার সহনীয় রাখতে পেঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে চিনির নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কও ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে এ দুটো নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে শুল্ক কমানোর এ সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, পেঁয়াজের ওপর থেকে আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ পণ্যটির ওপর ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক ছিল। এর ফলে এখন থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে আর কোনো শুল্ক দিতে হবে না। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিনা শুল্কে পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ পাবেন আমদানিকারকেরা। আর চিনির বিদ্যমান নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। এর ফলে চিনি আমদানিতেও আমদানিকার করা ১০ শতাংশ শুল্কছাড় পাবেন। এ সুযোগ দেওয়া হয়েছে ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বলা হয়েছে, এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।
এর আগে জনস্বার্থে পেঁয়াজের শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য এনবিআরকে অনুরোধ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ১১ অক্টোবর মন্ত্রণালয়ে পণ্যের মজুত, সরবরাহ, আমদানি ও মূল্য পরিস্থিতির স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখতে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সম্প্রতি ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশেও দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। এক লাফে দাম কেজিতে ২৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে যায়। ফলে বাজার সহনীয় রাখতে শুল্ক কমানোর চাপ তৈরি হয়। জানা যায়, বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে এরই মধ্যে ভারত ও তুরস্ক থেকে ১৫ হাজার টন পেঁয়াজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আরও পেঁয়াজ আমদানির প্রক্রিয়া চলছে।