Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

স্বস্তি কেটে গিয়ে ফের শঙ্কা

ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা

স্বস্তি কেটে গিয়ে ফের শঙ্কা

মাগুরা জেলায় দেড় মাস করোনা রোগী শনাক্তের হার শূন্য ছিল। সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিট ছিল একদমই ফাঁকা। স্বস্তিতে ছিল জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। করোনার ভ্যাকসিন ও স্বাস্থ্যবিধি মানার সুফলের জন্যই এমন পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে নতুন করে তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় ফের শঙ্কা তৈরি হয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের।

মাগুরা সিভিল সাজন কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০ নভেম্বর ফের করোনা রোগী ধরা পড়ে জেলায়। এর আগে অক্টোবর প্রথম সপ্তাহ ও নভেম্বরজুড়ে করোনা রোগী শূন্য ছিল। যে কারণে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার দুদিন পর অপর একজন করোনায় আক্রান্ত হন। তিনি এখন মাগুরা সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আইসোলেশনে রয়েছেন। সবশেষ ২৮ নভেম্বর তৃতীয় জন করোনা শনাক্ত হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যে জেলায় ১১ হাজার ১৪ এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে দুই দফায় করোনার টিকা (ফাইজার) দেওয়া হয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিস থেকে জানা যায়, কিছু পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলেও তা শারীরিক কারণে হতে পারে। এ ছাড়া জেলায় এবার এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সবাই টিকা নিয়েই পরীক্ষায় অংশ নিতে যাচ্ছে।

জানা গেছে, মাগুরায় এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৯১ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৬৩ জন। জেলায় এ পর্যন্ত করোনার টিকা দেওয়া দুই ধরনের। একটি সিনোফার্ম অন্যটি অ্যাস্ট্রাজেনিকা। সিনোফর্মের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩ লাখ ৪১ হাজার ২৬১ জনকে। যেখানে পুরুষ ১ লাখ ৬০ হাজার ৮০৮ এবং নারী ১৮ হাজার ৪৫৩ জন। একই টিকা দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২ লাখ ১২ হাজার ৬৪৯ জন। যেখানে পুরুষ ১ লাখ ২ হাজার ৫৬২ এবং নারী ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭ জন। এ ছাড়া অ্যাস্ট্রাজেনিকা ভ্যাকসিন নিয়েছেন মোট ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৯ জন। এর মধ্যে ১ম ডোজ পুরুষ ৮৫ হাজার ৬৪২ ও নারী ৮৬ হাজার ৪২৭। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৯৬ হাজার ৪২ জনকে। যেখানে পুরুষ ৪৯ হাজার ১৫৪ এবং নারী ৪৬ হাজার ৫২৮ জন।

সিভিল সাজন কার্যালয়ের এই তথ্য বিশ্লেষণ করলে মাগুরায় এ পর্যন্ত করোনার টিকা নিয়েছে প্রায় ৫ লাখ ১৩ হাজার ৩৩০ জন। যেখানে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন হয়েছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৬৯১ জনের। সিভিল সাজন কার্যালয় বলছে দ্বিতীয় ডোজ টিকা যাঁরা নিয়েছেন সেই সংখ্যাটাই প্রকৃত টিকা নেওয়া ধরা হয়। জেলার মোট জনসংখ্যা ১১ লাখের বেশি। স্বাস্থ্য বিভাগ মোট জনসংখ্যার ১৮ বছরের ওপরে ধরে মোট ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়ার কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।

টিকা নেওয়ার কার্যক্রম সফলভাবে চললেও মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা কমে গেছে বলে জানিয়েছেন মাগুরা সিভিল সার্জন ডা. শহিদুল্লাহ দেওয়ান। তিনি জানান, বারবার সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমরা মানুষকে বলছি যে টিকা নিলেই সুরক্ষা হয়ে যাবে, এমনটা নয়। টিকা নেওয়ার পরও নিজে মাস্ক পরতে হবে। এবং যতটুকু সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে।

সিভিল সাজন জানান, নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়াটা খুব উদ্বেগজনক। তাঁরা সব সময় করোনার চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত আছেন। তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি দু-একজন করোনা রোগী শনাক্ত হলেও তা যেন আর আগের মতো না বাড়তে পারে। এ জন্য সবার সহযোগিতা দরকার। সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মানা হলে সবাই নিরাপদে থাকতে পারব।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ