শরীয়দপুর সদর উপজেলার রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে এজেন্টকে বের করে দিয়ে জাল ভোট প্রয়োগ ও ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ৬টি কেন্দ্রের ফল স্থগিত করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান ঢালী। এ বিষয়ে তিনি গত শুক্রবার রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।
নির্বাচনের পরদিন শুক্রবার রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান ঢালী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে রুদ্রকর ইউপির ভোট হয়। ভোটগ্রহণ চলাকালে রুদ্রকরের ছয়টি কেন্দ্র থেকে জোরে আমার এজেন্টদের বের করে দিয়ে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে ব্যালটে নৌকার সিল মেরে বিজয় ঘোষণা করা হয়। কিন্তু চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যদের ভোটের ব্যালট গণনাকালে মুড়ি বইয়ের মিল না থাকায় ত্রুটি ধরা পড়ে। জোরে ব্যালট ছিনতাই করে নৌকা প্রতীকে সিল মারায় আমাকে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। সুষ্ঠু ভোট হলে আমি জয়ী হতাম। তাই ছয়টি কেন্দ্রের ফল স্থগিত করে পুনরায় ভোটের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করেছি।’
কেন্দ্রগুলো হলো-রুদ্রকর নীলমনি উচ্চ বিদ্যালয়, ২৭ নম্বর হোগলা মাকসাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বুড়িরহাট উচ্চ বিদ্যালয়, ৫২ নম্বর পশ্চিম সোনামুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৪ নম্বর বড় সোনামুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৭৬ নম্বর পূর্ব সোনামুখী বেপারীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
রুদ্রকর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, ‘রুদ্রকর ইউনিয়নের ৬টি কেন্দ্রের ফল স্থগিত করে পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান ঢালী একটি লিখিত আবেদন করেছেন। আমি আবেদন গ্রহণ করেছি। এখন তিনি যদি ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন, তাহলে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারেন।’