মেহেরপুরের গাংনীতে মাছের খাবারের বস্তা চাপা পড়ে জুনায়েদ হোসেন (১৩) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার বেলা ৩টার দিকে উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের কাষ্টদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। জুনায়েদ হোসেন কাষ্টদহ গ্রামের প্রয়াত বাবুল আক্তারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, জুনায়েদ হোসেন শ্রমিক হিসেবে মৎস্যচাষি আক্কাস আলীর মাছের খামার দেখাশোনা করত। ঘটনার দিন আক্কাস আলীর বাড়িতে মাছের খাবারের বস্তার লট থেকে বস্তা নামানোর সময় আকস্মিক ভাবে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গাংনী হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার অবস্থার আরও অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মৎস্যচাষি আক্কাস আলীর ছোট ভাই মন্টু মিয়া বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ জুনায়েদ হোসেন শ্রমিক হিসেবে পুকুরে মাছের খাবার দেওয়াসহ মৎস্য খামার দেখাশোনা করত। অসাবধানতা বসত দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। অসহায় পরিবারটিকে মানবিক ভাবে দেখা হবে।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশ দুর্গা চরণ দাস জানান, ৩ বছর আগে জুনায়েদ হোসেনের বাবা বাবুল আক্তার গাছ চাপা পড়ে মারা গেছে। অভাব অনটনের সংসারে মায়ের সঙ্গে তারা অনেক কষ্টে জীবন যাপন করত পরিবারটি।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বস্তা চাপা পড়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনাটি পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জুনায়েদ হোসেনের পরিবার অত্যন্ত গরিব মানুষ। তাই তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করেন প্রতিবেশীরা।