মির্জাপুরে পালিত কুকুর দিয়ে পোলট্রি খামারের মুরগি খাওয়ানোর প্রতিবাদ করায় খামারের মালিককে মারধর ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় খামারের মালিক মোশারফ খানের বাবা আব্দুল খান ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে পালিত কুকুর তাঁকে কামড়ে আহত করে।
আহত মোশারফ খানকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে টাঙ্গাইল সদরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের ভূষন্ডী গ্রামে সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বিষয়টি সাংবাদিকদের জানায় ভুক্তভোগী পরিবার।
এ ঘটনায় বৃদ্ধ আব্দুল খান বাদী হয়ে একই গ্রামের অপু মণ্ডল (৩৫), প্রভাষ কুমার সৈদাল (৫০) ও গ্রামাটিয়া গ্রামের দেব্রত মণ্ডলের (২২) নামে মির্জাপুর থানায় অভিযোগ দেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভূষন্ডী গ্রামের অপু মণ্ডল (৩৫) দুটি বিদেশি ও একটি দেশি কুকুর পালন করে। গত ৩১ মার্চ বিকেলে সাড়ে পাঁচটার দিকে অপু মণ্ডল তার পালিত কুকুর তিনটি নিয়ে গ্রামের মোশারফের পোলট্রি খামারে প্রবেশ করে। এ সময় কুকুরগুলো ফার্মের ১০ থেকে ১২টি বাচ্চা মুরগি খেয়ে ফেলে এবং ২০ থেকে ২৫টি বাচ্চা মেরে ফেলে। এ সময় কুকুরগুলোকে মোশারফ তার ফার্ম থেকে তাড়িয়ে দিলে কুকুরের মালিক অপু মণ্ডল ক্ষিপ্ত হয়ে মোশারফের ওপর লাঠি নিয়ে হামলা চালান। ওই সময়ে মোশারফের আর্তচিৎকারে তার বাবা আব্দুল খান এগিয়ে এলে কুকুরগুলো তাকে কামড়ে আহত করে। পিতা পুত্রের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে বাপ ছেলেকে উদ্ধার করে।
ওই ঘটনার জের ধরে গত শনিবার সকালে অপু মণ্ডলের নেতৃত্বে অপর দুই আসামি প্রভাষ কুমার সৈদাল ও দেব্রত মণ্ডল মিলে পুনরায় লাঠিসোঁটা, ছুরি ও লোহার রড নিয়ে মোশারফের ওপর হামলা চালায়। তাঁদের হামলায় মোশারফের শরীরে মারাত্মক জখম হয়।
জানতে চাইলে ছুরি চালানোর কথা অস্বীকার করেন অপু মণ্ডল। তিনি বলেন, মোশারফ আমাকে মারতে চাকু নিয়ে এসেছিল। সেই চাকু তাঁর শরীরে লেগে তিনি আহত হন।
মির্জাপুর থানা উপপরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন বলেন, ‘অপু মণ্ডলসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।’