খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) বার্ষিক আবাসন ফি (বেতন) নিয়ে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর তুলনায় তাদের কাছ থেকে প্রায় ১৪ গুণ বেশি ফি নেওয়া হচ্ছে। তবে এই বিরাট অঙ্কের বিপরীতে তাঁরা বাড়তি কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না।
দেখা গেছে, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী সৈয়দা ফাতেমা আবাসন ফি দেন ১২০০ টাকা। অথচ একই শিক্ষাবর্ষে এই খাতে বিদেশি শিক্ষার্থী কেশিকাকে গুনতে হয় ২০০ ইউএস ডলার-যা কিনা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭ হাজার টাকা। কেব বিদেশি শিক্ষার্থী হওয়ায় আবাসনের জন্য তাদের গুনতে হয় এই মোটা অঙ্কের টাকা।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে মোট ১৯ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। যা কিনা একক শিক্ষাবর্ষে রেকর্ড সংখ্যক ভর্তি।
নেপাল থেকে পড়তে আসা ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী কেশিকা শ্রেষ্ঠা জানান, আবাসনের জন্য তাঁর প্রতি অর্থবছরে ১৭ হাজার টাকা দিতে হয়। এই বিরাট অঙ্কের বিপরীতে আলাদা করে তিনি কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না।
একই বর্ষের শিক্ষার্থী পুষ্প রাজ বলেন, পার্শ্ববর্তী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবাসন ফি নেওয়া হয় না। তবে আমরা সম্পূর্ণ মওকুফের কথা বলছি না, কিছু টাকা অন্তত হ্রাস করা হলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো। আমরা এ ব্যাপারে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স দপ্তরে যোগাযোগ করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দা অফিস অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোরসালিন বিল্লাহ বলেন, বিদেশি শিক্ষার্থীদের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।