Ajker Patrika
হোম > ছাপা সংস্করণ

বিদ্রোহী প্রার্থীর অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

বিদ্রোহী প্রার্থীর অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ইতিমধ্যে ১৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি তিন ইউপি (মিরসরাই সদর ইউনিয়ন, খৈয়াছড়া ও ইছাখালী) নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন। এই তিন ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থীদের অফিস ও বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। এদিন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. সাইফুল্লাহ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় রাতে তাঁর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা চালান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর লোকজন। আর গণমাধ্যমে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে বক্তব্য দেওয়ায় মিরসরাই উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা তাহের মাসুদের ছেলে তানভির হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলমের ছেলে নূর নবী যায়েদকে মারধর করা হয়।

এদিকে গতকাল বুধবার দুপুরে মিঠাছরা বাজারে মো. সাইফুল্লাহর কর্মীদের ধাওয়া করেন নৌকার প্রার্থী শামসুল আলম দিদারের কর্মীরা। পরে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এসব বিষয়ে মো. সাইফুল্লাহ বলেন, ‘দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দিলেও দলের আপামর কর্মী এবং জনসাধারণ থেকে আমাকে সরানো যাবে না। নৌকার প্রার্থী শামসুল আলম দিদার মাঠে আমার জনপ্রিয়তা দেখে দিশেহারা। আমার কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছেন।’

এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামসুল আলম দিদার। তিনি বলেন, ‘নৌকার গণজোয়ার দেখে বিদ্রোহী প্রার্থী ভিত্তিহীন কিছু অভিযোগ তুলছে।’

এদিকে উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাহেদ ইকবাল চৌধুরী অভিযোগ করেন, তাঁকে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন হুমকি দিচ্ছেন। গত মঙ্গলবার রাতে তাঁর ছোট ভাই আশেক ইকবাল চৌধুরীর ওপর হামলা চালান আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাহফুজুল হক জুনুর লোকজন।

অভিযোগটি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী মাহফুজুল হক জুনু।

এদিকে উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া মো. মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, ‘১৭ অক্টোবর মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় নৌকার প্রার্থীর লোকজন আমাকে মারধর করে মনোনয়ন ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে আমি হাইকোর্টে রিট করি। পরবর্তী সময় উচ্চ আদালতের নির্দেশে আমার মনোনয়ন গ্রহণ করে রির্টানিং কর্মকর্তা। এর পর থেকে নৌকা প্রার্থীর লোকজন আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য।’

মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, ‘খৈয়াছড়া ইউপির প্রার্থীর ভাইয়ের ওপর হামলার বিষয়টি জেনে তাৎক্ষণিক আমরা পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তাঁকে হাসপাতালে আনতে সহযোগিতা করা হয়েছিল। মিরসরাই সদর ইউনিয়নে হামলার ঘটনা আমি শুনেছি, তবে কেউ অভিযোগ করেননি।’

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফারুক হোছাইনকে একাধিকবার কল করা হয়, তবে তিনি ধরেননি।

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ

ঢাকা সড়ক পরিবহন: প্রশ্নবিদ্ধ কমিটিতেই চলছে মালিক সমিতির কার্যক্রম

৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করবে টিসিবি

৮ বছরে শিশুহত্যা হয়েছে ৪০০০

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির শীর্ষে বাংলাদেশ, তবে বাজারে পিছিয়ে

দেশে ব্যবসায় ঘুষ–দুর্নীতিসহ ১৭ রকমের বাধা

বিদ্যালয়ের জমিতে ৩৯১টি দোকান, ভাড়া নেয় কলেজ