নাঈমকে দাফন করে সবে ফিরেছেন সবাই। অন্যদের মতো বাবা শাহ আলম দেওয়ান তখনো চোখের পানি মুছছেন বারবার। ছেলের এমন মৃত্যু তিনি মেনে নিতে পারছেন না কোনোমতেই। কেউ সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে এলেই তিনি বলছেন, ‘আমি এটাকে দুর্ঘটনা বলি না। যে চালকের কোনো লাইসেন্স নেই, সে কোনো গাড়িচালকই নয়। তাহলে কীভাবে সে সিটি করপোরেশনের গাড়ি চালায়। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আবর্জনাবাহী গাড়ির ধাক্কায় গত বুধবার রাজধানীতে নিহত হয় নটর ডেম কলেজের ছাত্র নাঈম হাসান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার কাজিরখিল গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
নাঈমের বাবা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্সনায়েক শাহ আলম দেওয়ান রাজধানীর নীলক্ষেতে বইয়ের ব্যবসা করেন। পরিবার নিয়ে থাকেন কামরাঙ্গীরচরে। সেখান থেকে মতিঝিলে কলেজে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে গাড়িচাপায় প্রাণ হারায় নাঈম।
কাঁদতে কাঁদতে শাহ আলম বলেন, ‘আমার ছেলে বড় হয়ে জজ হতো, অনেক বড় বিচারক হতো। কিন্তু আমার স্বপ্ন, আমার ছেলের স্বপ্নকে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’
নাঈম হাসানের মামা কুমিল্লা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক ফারুক আহম্মেদ জানান, কামরাঙ্গীরচর ঝাউলাহাঁটি শাহি জামে মসজিদের সামনে জানাজা শেষে রাত ২টার দিকে লাশ তার নানার বাড়ি রামগঞ্জ উপজেলার সমেষপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দোয়ার অনুষ্ঠান শেষে সকাল ১০টায় গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।