‘যক্ষ্মা হলে নেইকো ভয়, সবাই মিলে করব জয়’ স্লোগান নিয়ে রাজশাহীতে যক্ষ্মা নির্মূলে সচেতনতামূলক কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
পুতুল নাটক ও গম্ভীরা প্রদর্শনের মাধ্যমে জেলার ৯টি উপজেলায় ১৮ দিনব্যাপী ৪৫টি প্রদর্শনীর মাধ্যমে চলবে এই কর্মসূচি। কর্মসূচির অনুষ্ঠানগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি হাটবাজারেও অনুষ্ঠিত হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহীর পবা উপজেলার ঘোলহাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যক্ষ্মাবিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে পুতুল নাটক ও গম্ভীরা প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্কুলটির শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকেরা অংশ নেন। প্রদর্শনী কেন্দ্রের পাশে যক্ষ্মার প্রাথমিক লক্ষণ নির্ণয়ে একটি ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
আয়োজকেরা জানান, যক্ষ্মাবিষয়ক ভ্রান্ত ধারণা ও যক্ষ্মা নির্মূলে নানা প্রতিবন্ধকতা দূর করার উদ্দেশ্যে এই কার্যক্রম। আইসিডিডিআরবি পরিচালিত ইউএসএআইডি’স অ্যালায়েন্স ফর কমব্যাটিং টিবি ইন বাংলাদেশ (এসিটিবি) কার্যক্রমের আওতায় এই সচেতনতামূলক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। এতে ‘জলপুতুল’ নামের একটি সংস্থার সদস্যরা অভিভাবক ও শিশুদের সচেতন করেন।
ক্যাম্পেইনে বিশেষভাবে সজ্জিত গাড়ির মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ নাটক প্রদর্শন করা হয়। বিনোদনমূলক পরিবেশে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই রাজশাহীর জনপ্রিয় গম্ভীরা গানে নানা-নাতির খুনসুটির মাধ্যমে পুতুল নাটকটি প্রদর্শন করা হয়। এর আগে স্বাস্থ্যবিধি মানতে শিশুদের মাস্ক দেওয়া হয় এবং পুতুল রং করতে দেওয়া হয় তাদের।
জলপুতুল প্রকল্পের পরিচালক সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বড়দের যক্ষ্মার বিষয়টি মানুষ জানলেও শিশুদের বিষয়টি অনেকেই জানেন না; তাই শিশুদের যক্ষ্মা নির্মূলে সচেতন করতেই এই আয়োজন।
তিনি আরও বলেন, শিশুদের আকৃষ্ট করা এবং বোঝার সুবিধার্থে পুতুল নাটকের মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে। গম্ভীরা রাজশাহীর জনপ্রিয় গান। তাই এর মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।