শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজয়ী ও পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত সোমবার বিকেলে পালং থানায় মামলা হলে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডোমসার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে পরাজিত প্রার্থী মতিন ছৈয়ালের সমর্থক মোফাজ্জল সরদার বাদী হয়ে ৪১ জনের নামে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি করেন। এই মামলায় গ্রেপ্তার তিনজন হলেন-ডোমসার ইউনিয়নের খিলগাঁও গ্রামের ওবায়দুর রহমান খান (৩৯), জসিম খান (৩৭) ও সুমন গাজী (৩৪)।
পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে ডোমসার ইউপি নির্বাচন হয়। নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে আলী আজগর খান মোড়গ প্রতীক নিয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। আর তালা প্রতীক নিয়ে পরাজিত হন আব্দুল মতিন ছৈয়াল। নির্বাচনের দিন থেকেই উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। কথা-কাটাকাটি আর একাধিক ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। গত রোববার ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা সংঘর্ষে রূপ নেয়। মুন্সিরহাট এলাকায় উভয় পক্ষ শতাধিক হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ কর্মী-সমর্থক আহত হন। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী মতি ছৈয়াল বলেন, ‘নির্বাচনের শুরু থেকেই আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করে আসছিল আলী আজগরের সমর্থকেরা। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর তিনি দলবল নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমার বেশ কয়েকজন কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত আমার ভাগনে মোফাজ্জল বাদী হয়ে মামলা করেছেন। হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।’
বিজয়ী প্রার্থী আলী আজগর খান বলেন, ‘নির্বাচনের ফলাফল পাওয়ার পর বিজয়ী হওয়ায় আমি আমার ভোটার ও সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে আমার ওপর হামলা চালায় মতি ছৈয়ালের লোকজন। এ সময় তাঁরা শতাধিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেশি অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালান। এতে আমার ৩-৪ জন সমর্থক আহত হয়েছেন। আমার লোকজনকে মেরে উল্টো আমার বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। আমরাও মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
পালং থানার ওসি আকতার হোসেন বলেন, ‘ডোমসার ইউনিয়নের মুন্সিরহাট এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় এক পক্ষের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত ৩ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’