ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অলেক মিয়া (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গত রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রোববার সন্ধ্যায় এবং গতকাল সোমবার সকালে দুই দফা সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন। এর মধ্যে মো. মাসুদ (৪৮) মো. মোশারাফ (৩২), বাহা উদ্দিন (২৪), আতাউল্লাহ (৩৫), মো. জালাল (৪৭), মো. কাউসার (৪২) গুরুতর আহত হন বলে জানা যায়।
সরেজমিনে জানা যায়, গত রোববার সন্ধ্যায় অলেক মিয়া মাগরিবের নামাজ শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন। এ সময় অতর্কিতভাবে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে
কফিল উদ্দিন ও সামছুল হক এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাঁকে গুরুতর জখম করেন। খবর পেয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে অলেক মিয়াকে চিকিৎসার জন্য বাঞ্ছারামপুর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে রাধানগর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদ মিয়া বলেন, ‘অলেক মিয়া আমার চাচাতো ভাই। মাগরিবের নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব শত্রুতার জেরে মহসিন মিয়ার ইন্ধনে কফিল উদ্দিন ও সামছুল হকের নেতৃত্বে একদল লোক রামদা, ছুরি দিয়ে আমার তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। এ ছাড়া গত ইউপি নির্বাচনে আমি ও মহসিন দুজনই একই ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী ছিলাম। শেষে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াই। মহসিন মিয়াকে সিলেকশনে ইউপি সদস্য নির্বাচিত করি। তখন আমাদের ৮-১০টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে মালামাল লুট করে তাঁরা নিয়ে যান।’
নিহত অলেক মিয়ার ছেলে আতাউল্লাহ বলেন, ‘বাবার কোনো দোষ ছিল না। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। বাবাকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই।’
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাজু আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে রাধানগর গ্রামে পুলিশ পাঠাই। সংঘর্ষে অলেক মিয়া নামের একজন গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে আনার পথে মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো মামলা হয়নি। তবে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।