নীলফামারীর ডোমার উপজেলার কলমদার নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি দেবে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুই পাড়ের লাখো মানুষ।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতু দিয়ে প্রতিদিন ট্রাক, ট্রাক্টর, অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে। তবে অনেকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছাতে ঘুরে আসছেন ১৫ কিলোমিটার পথ। এতে অপচয় হচ্ছে অর্থ আর সময়ের। স্থানীয়রা দ্রুত সেতুটি পুনর্নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।
সূত্রমতে, আশির দশকে ডোমার উপজেলার সঙ্গে দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ের মধ্যে সড়কপথে সংযোগ স্থাপনে হংশরাজ এলাকায় কলমদার নদীর ওপর নির্মিত হয় সেতুটি। কলমদার নদী খননের ফলে ৬ মাস আগে গত বর্ষা মৌসুমে পানির তোড়ে সেতুর নিচের মাটি সরে যায়। সেতুটি আকস্মিক দেবে গিয়ে মাঝের অংশ ভেঙে যায়।
জোড়াতালি দিয়ে স্থানীয়রা সেতু পারাপারের সাময়িক ব্যবস্থা করলেও প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ডোমারের হরিণচড়া ও সোনারায় ইউনিয়নসহ আশপাশের কয়েকটি ইউনিয়নের লাখো মানুষ।
হরিণচড়া ইউনিয়নের হংশরাজ গ্রামের মতিয়ার রহমান জানান, ছয় মাস আগে সেতুটি দেবে গিয়ে ভেঙে যায়। এখন পর্যন্ত মেরামত বা পুনর্নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। ঝুঁকি নিয়ে পণ্যভর্তি যানবাহনগুলো ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করছে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
একই এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অমিত চন্দ্র রায় আজকের পত্রিকাকে জানান, কলমদার নদীর ওপর সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় হাটবাজার করতে অনেক দূর ঘুরে আসতে হয়। অতিরিক্ত ভাড়া না দিয়ে এ পথে রিকশা ভ্যানে ঝুঁকি নিয়ে মালামাল পারাপার করতে হয়। গত মাসে মালামালসহ ভ্যান উল্টে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হন বলে জানান।
ডোমার উপজেলা প্রকৌশলী মোস্তাক আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, কলমদার নদীর ওপর নির্মিত সেতু ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। বরাদ্দ এলে খুব দ্রুত সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
ডোমার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগের
শিকার হচ্ছেন কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ। দ্রুত সময়ের মধ্য কলমদার নদীর ওপর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি নির্মাণ করতে জেলা পরিষদ ও প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’