পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে শিক্ষার্থীরা করোনার টিকা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একই বুথে ছাত্র-ছাত্রীদের গাদাগাদি করে টিকা দেওয়া ও অব্যবস্থাপনার কারণে শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েন। এতে অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার উপজেলার চারটি প্রতিষ্ঠানে প্রথম ডোজ এবং দুইটি প্রতিষ্ঠানে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ৭৬২ ও প্রথম ডোজ পেয়েছে ৩৩০ জন শিক্ষার্থী।
গতকাল সরেজমিনে টিকা কেন্দ্রে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিচ্ছে। ছাত্র ও ছাত্রীদের আলাদা কোনো বুথের ব্যবস্থা করা হয়নি। এতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। টিকা নিতে আসা একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, টিকা নিতে এসে তাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ঠেলাঠেলি করে কেন্দ্রের ভেতরে ঢুকতে হয়েছে। ছেলে এবং মেয়েদের জন্য আলাদা টিকা কেন্দ্র করলে ভালো হতো। এ ছাড়া ১৫ কিলোমিটার দূর থেকে আমাদের টিকা নিতে আসতে হয়েছে। প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি টিকা কেন্দ্র করলে ভালো হয়।
কিসমত ছৈলাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়েকে টিকা দেওয়ার জন্য নিয়ে এসেছিলাম। ভেতরের পরিবেশটা ভালো থাকলেও বাইরের পরিবেশটা ছিল বিশৃঙ্খল।’
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দিলরুবা ইয়াসমীন লিজা বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকার কারণে নির্ধারিত সময়ে টিকা কার্যক্রম শুরু করতে কিছুটা বিলম্ব হয়। এতে টিকা কেন্দ্রের বাইরে কিছুটা হুলুস্থুল হয়েছে। তবে টিকা কেন্দ্রের ভেতরের পরিবেশ স্বাভাবিক ছিল।’