মানুষ সামাজিক জীব। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে তারা অসুস্থ হতে পারে। প্রতিবেশী, পরিচিতজন অথবা ভাই হিসেবে তাকে দেখতে যাওয়া অপর ভাইয়ের জন্য আবশ্যক। ইসলাম এ বিষয়ে সবাইকে উৎসাহিত করে। বারা ইবনে আজিব (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) আমাদের সাতটি বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন। তা হলো, মৃত ভাইয়ের জানাজা করা, রোগীকে দেখতে যাওয়া...। (বুখারি: ১২৩৯)
রোগীকে দেখতে গেলে শিয়রের পাশে বসে তার ভালো-মন্দ জিজ্ঞাসা করতে হবে। তার সঙ্গে এমন কথা বলা যাবে না, যা তার অন্তরে মরণের ভীতি সৃষ্টি করে। বরং এমন কথা বলতে হবে যাতে রোগীর অন্তরে সুস্থ হওয়ার আশা সঞ্চার করে। কারণ, তখন তার মানসিক সমর্থন খুবই প্রয়োজন। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘যখন মহানবী (সা.) রোগী দেখতে যেতেন, তখন তিনি শিয়রে বসতেন।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ: ১৪০৯)
মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা যখন রোগী দেখতে যাবে তখন তার জন্য সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করবে। যদিও তা কিছুই প্রতিরোধ করতে পারে না, তবু তা রোগীর মনে আনন্দের উদ্রেক করে।’ (ইবনে মাজাহ: ১৪৩৮) এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, রোগীর সুস্থতার ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের ভূমিকা অপরিসীম। চিকিৎসকের কথায় রোগী অর্ধেক সুস্থতা অনুভব করে।
তবে কোনোভাবেই রোগীকে চাপ প্রয়োগ করে খাওয়ানো সুন্নত নয়। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা রোগীদের জোরপূর্বক পানাহার করতে বাধ্য করবে না। কারণ, বরকতময় আল্লাহ তাদের পানাহার করান।’ (তিরমিজি: ২০৪০)
যিনি রোগীকে দেখতে যান তার প্রতিদান জান্নাত। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রোগী দেখতে যায়, ফিরে না আসা পর্যন্ত সে জান্নাতের ফল আহরণ করতে থাকে।’ (মুসলিম: ৬৫৫২)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়