স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকার নবাবগঞ্জে গরুর রশি ছেঁড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে শোল্লা ইউনিয়নের বাঁশনল এলাকায় গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন বাঁশনল বাজার কমিটি, বাঁশনল যুব সংঘ ও এলাকাবাসী। গরুর রশি ছেঁড়া দেখতে অন্তত ১০ হাজার দর্শক সমবেত হয়।
অনুষ্ঠানস্থলকে ঘিরে বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য গ্রাম্যমেলা বসে। বেলা ৩টা থেকে নানা বয়সী মানুষ দলে দলে গরুর রশি ছেঁড়া দেখতে আসে। মুহূর্তে মাঠের চারপাশ ভরে ওঠে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বাঁশনল বাজার কমিটির সভাপতি, বিটিভি ও বাংলাদেশ বেতারের নিয়মিত গীতা পাঠক হরিদাস মজুমদার জানান, প্রায় ৪০০ বছর আগে থেকে এ প্রথা পালন করে আসছে এলাকার মানুষ। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য হারানোর পথে। তবু প্রথা পালনের চেষ্টা করেছি। এলাকার মানুষগুলো প্রতিবছরই এ দিনের অপেক্ষায় প্রহর গুনে।
বিকেলে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার জামসার কুরবান মোল্লার গরু, দোহার উপজেলার কার্তিকপুরের আসলাম ব্যাপারী দীর্ঘকায় সাদা রঙের গরু ও যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ভাওয়ালিয়া গ্রামের দরবেশ মাদবরের বিশালাকার গরু মাঠজুড়ে দাপিয়ে বেড়ান। তা ছাড়া নবাবগঞ্জ, দোহার, মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রায় অর্ধশত গরু নিয়ে আসা যুবকেরা মাঠজুড়ে ছুটোছুটি করেন।
সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তাবির হোসেন খান পাভেল। প্রতিযোগিতায় পুরস্কার হিসেবে সবচেয়ে বেশি রশি ছেঁড়া গরুর মালিকদের ১০টি টেলিভিশন, ১০টি ফ্যান, ১০টি গ্যাসের চুলা ও ২০ বালতি দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বোরহান উদ্দিন, বাঁশনল যুব সংঘের সভাপতি শহীদ হোসেন, পাতিলঝাপ জনকল্যাণ সংঘের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক হোসেন, যন্ত্রাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আরশেদ মীর, যুবলীগ নেতা ছাবিদুল ইসলাম, কৃষক লীগ নেতা বিল্লাল হোসেন প্রমুখ।