নীলফামারীর খানাবাড়ি গ্রাম। এই গ্রামের সব মানুষ বিভিন্ন বনজ ও ফলদ গাছের চারা উৎপাদন করেন। এ কারণে চারা গ্রাম নামেই পরিচিতি লাভ করেছে এলাকাটি। এতে নিজের আর্থিক সচ্ছলতার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখছে গ্রামটি।
হরিণচড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম জানান, প্রায় আড়াই যুগ আগে দেশের বিভিন্ন নদীভাঙন এলাকা থেকে শতাধিক পরিবার আসে ডোমার উপজেলার খানাবাড়ি গ্রামে। নির্জন এলাকায় খুব কম দামে জমি কিনে কেউ বাড়ি করেন। আবার অনেকে অন্যের জমিতে থাকতে শুরু করেন। প্রথমে কেউ দিনমজুর, কেউ রিকশা ও ভ্যানচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। গত এক যুগ থেকে তাঁরা চারা উৎপাদন শুরু করেন। বর্তমানে গ্রামের আড়াই শতাধিক পরিবারের সবাই চারা উৎপাদন করেন। করোনার সময়ও তাঁদের কোনো আর্থিক সমস্যায় পড়তে হয়নি। তাঁরা সবাই সুখে রয়েছেন।
নারী চারাচাষি মহিমা বেগম (৩৮) বলেন, ‘গত বছর এক বিঘা জমিতে চারা চাষ করেছি। লাভ বেশি হওয়ায় এবার দেড় বিঘা জমিতে চাষ করি। আমরা তো লেখাপড়া করতে পারি নাই। তবে আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আনিছুজ্জামান জানান, গ্রামটির সবাই চারা উৎপাদন করে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা তাঁদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও সহায়তা করেন।