চুয়াডাঙ্গাকে প্রথম রাজধানীর স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। গতকাল রোববার বেলা ১১টায় স্থানীয় শহীদ হাসান চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘ চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক কাজল মাহমুদ, সুন্দরম মিডিয়ার পরিচালক আসাদুজ্জামান শিমুল, এম এ মতিন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি শাওন কুমার রায়, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য শেখ ফরিদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ‘দক্ষিণ-পশ্চিম রণাঙ্গনের সদর দপ্তর ও মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার চুয়াডাঙ্গাকে অস্থায়ী রাজধানী করে তৎকালীন আনসার মুজাহিদ, ইপিআর ও পুলিশ নিয়ে যৌথবাহিনী গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করা হতো। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের এ অস্থায়ী রাজধানীতে প্রথম যুদ্ধে যাওয়ার শপথ গ্রহণ করেন ৪৭ জন আনসার ও মুজাহিদ। এঁদের অনেকেই এখনো জীবিত আছেন, যাঁরা একক এবং যৌথভাবে মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নেন। এ কারণে মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকার গঠন, শপথ গ্রহণ এবং প্রথম রাজধানী হিসেবে চুয়াডাঙ্গাকে বেছে নেওয়া হয়। পাকিস্তানি বাহিনী বিষয়টি টের পেয়ে হামলা চালালে সব প্রস্তুতি ভেস্তে যায়। বাংলাদেশ সরকারের রাষ্ট্রীয় মনোগ্রাম ও সিলমোহর তৈরি করা হয়েছে এ চুয়াডাঙ্গা থেকেই। তবে কেন আজ আমাদের চুয়াডাঙ্গাকে প্রথম রাজধানীর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হবে না।’
মানববন্ধনে জেলা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য ও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মুক্তিযুদ্ধে নানান ইতিহাসের সাক্ষী চুয়াডাঙ্গার সর্বস্তরের জনগণ জেলাকে অস্থায়ী রাজধানীর স্বীকৃতি চেয়ে প্রতিবছর ১০ এপ্রিল মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন।